কুমিল্লার টমছম ব্রীজ থেকে পূর্ব দিকের সোজা রাস্তাটি দিয়ে মিনিট দশেক হেঁটে গেলে চোখে পড়বে ডান দিকে একটি খোলা জায়গা। নর্দমায় ভরা এক পাশ। তার ঠিক উল্টোদিকে চোখে পড়বে বেশ কয়েকটি পাঁচতলা বিশিষ্ট পুরনো ধাচের মলিন ফাঙ্গাসে ভরা ফ্লাট বাড়ি। দেয়ালে নানা ধরনের আঁকি-ঝুকি, গনতন্ত্রের বুলি আওরানো রাজনৈতিক দলের স্লোগান। এলাকাটি দেখলে কারো মনে হবেনা কোন ভদ্দরলোকের পাড়া হবে। চারিদিকে বেশ নোংরা, জরাজীর্ন পরিবেশ। বিক্ষিপ্ত ইট আর দূর্বল কংক্রিট দিয়ে নির্মিত ফ্লাটগুলি সময়ের দাগ বহন করে ন্যুজভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আশে-পাশে বিক্ষিপ্তভাবে নান ধরনের ঘর বাড়ি থাকলেও খালি জায়গাটির লাগোয়া এই পাশটিতে পর পর তিনটি ফ্লাট বাড়ি। প্রধান সড়ক থেকে যে চিকন...
Posted On 01 Apr, 2024

বিষ্ণুপুর গ্রামটি খুব ছোট। মাত্র দুইশত পরিবারের বসবাস। পাশের গ্রামটি খন্জনাপুর। কুমিল্লার এক অজ পাড়াগ্রাম। একসময় যাতায়াতের প্রধান বাহন ছিলো গরুর গাড়ী। দুর দুরান্তে যাওয়ার জন্য উত্তম ব্যাবস্থা ছিলো নৌকা। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কৃশকায় ডাকাতিয়া নদীটি। সে নদীটির সাথে যুক্ত একটি খাল চলে যায় খঞ্জনাপুর গ্রামের জমিদার বাড়ীর বড়ো পুকুরের এক পাশ দিয়ে। পুকুরটি বিশালাকার আর চারিদিকে অসংখ্য তালগাছ ছিলো বলে এলাকায় তালদিঘী নামে বেশ সুপরিচিত। জমিদার পালবাবুর ছিলো বেশ হাঁকডাক। সজ্জন মানুষ হিসেবে আশে-পাশের গ্রামে তার বেশ সুনাম ছিলো। তিনিই গ্রাম বাসীর সুবিধার জন্য পুকুরের পাশের খাল দিয়ে নৌকায় চলাচলের জন্য বেশ সুন্দর একটা ব্যবস্থা করেছিলেন। বজরা থেকে...
Posted On 01 Apr, 2024

চক্রবর্তীদের বাড়ির কুকুরটাকে বাড়ীর ছোট মেয়ে নাতিশা পন্ডিত বলে ডাকতে শুরু করলে, বাবা নিষেধ করলেন। কারন ওদের এলাকার ভট্টাচার্যদের বাড়িটাকে সবাই পন্ডিত বাড়ি বলতো। ওই বাড়িতেই জন্মেছিলেন অত্র এলাকার কৃতী সন্তান শ্যামাপদ বিদ্যালঙ্কার। কোলকাতায় থাকলেও মাঝে মধ্যে বাড়ি আসতেন। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেন। নাতিশাদের পরিবারের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ভাব ছিলো খুব। পরে তার নাম রাখা হয় ভুলু। ভুলু ঠিক মানুষের মতোই সব কিছুই বুঝতো, একারনেই তাকে পন্ডিত বলা। তবে নিজের গ্রামের বাড়ীতে আসার আগ পর্যন্ত ভুলুকে পন্ডিত বলেই সবাই ডাকতো। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই অসুস্থ পন্ডিতকে নিয়েই নাতিশারা গ্রামের বাড়ীতে চলে আসে।   গ্রামের বাড়িতে আসার পর হঠাৎএকদিন দেখা...
Posted On 15 Mar, 2024