তোমার মৃত্যুতে পুরো জাতি আজ শোকাহত
ঢাকার আকাশে জমেছে কালো মেঘের ভার,
তোমার নিথর দেহ যেন থামিয়ে দিয়েছে সময়,
তুমি কাঁদতে পারোনি, কিন্তু তোমার নিস্তব্দ চিৎকার শুনতে পেয়েছে পৃথিবী।
আমরা সবাই লজ্জিত, কোথায় লুকাবো মুখ?
তোমার মৃত্যু আমাদের সভ্যতায় এঁকে দিয়েছে কলংকের মানচিত্র
যাদের হাতে ছিলো শিক্ষার প্রদীপ মানবতার ছারপত্র
তারাই তোমার জীবন নিভিয়ে দিলো অমানবিক হিংস্রতায়।
তোমার নিষ্পাপ মুখ আজও ভাসে আমাদের চোখে,
তোমার যন্ত্রণায় মুচড়ে ওঠে আমাদের অশান্ত হৃদয়,
আমরা তোমার জন্য কিছুই করতে পারিনি,
এই পাশবিকতায় স্বয়ং সৃষ্টি কর্তাও শিউরে উঠেছিলেন।
তুমি শুধু একজন মানুষ ছিলে,একজন অসহায়, নিরীহ, দুর্বল,
তোমার অপরাধ ছিল না,তবু নির্মমভাবে হত্যা করা হলো তোমাকে
তোমার আর্তনাদে কেঁপে উঠেছিলো বিশ্ব মানবতা,
তোমার রক্তে জাতির অন্তরাত্মা
এই নির্মমতার বিচার হবে কি কোনোদিন?
নাকি এই সমাজের বিবেক হারিয়ে গেছে চিরতরে?
আমরা আজ সবাই তোমার কাছে দায়ী,
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা লজ্জিত, আমাদের মানবতা লজ্জিত,
তুমি তো আমাদেরই ছিলে,
কিন্তু আমরা তোমাকে রক্ষা করতে পারিনি,
তোমার চলে যাওয়া শুধু এক ব্যক্তির মৃত্যু নয়,
এটি গোটা জাতির এক গভীর পতনের প্রতীক।
তুমি চেয়ে ছিলে একটু সহানুভূতির জন্য,
কিন্তু পেয়েছো হিংস্র আঘাতের উত্তরে মৃত্যুর পরোয়ানা,
তুমি তো কোনো অপরাধ করোনি,
তবু তোমাকে চোর সন্দেহে মেরে ফেলা হলো—
এই কলঙ্ক কি আমরা কখনও মুছতে পারবো?
তোমার আত্মা আজও যেন প্রশ্ন করে,
“কোনদিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ? কোথায় গেল সেই মানবতা?”
তুমি চলে গেলে, রেখে গেলে এক গভীর ক্ষত,
আমরা সবাই লজ্জিত, ঈশ্বরও আজ নিঃশব্দ।
তোমার রক্তের দাম কি আমরা কখনও শোধ করতে পারবো?
তোমার স্মৃতি আমাদের কুরে কুরে খাবে প্রতিটি মুহূর্তে,
এই জাতি আজ লজ্জিত, তোমার জন্য, তোমার রক্তের জন্য,
আমরা ক্ষমা চাই, কিন্তু সেই ক্ষমা কি আর তোমার কাছে পৌঁছাবে?
এবার যেন পুরো জাতিই মরে গেছে,
তোমার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়েছে আমাদের সভ্যতার আশা।