আমার শুরুর সেই মুহূর্ত থেকে
অতীত-বর্তমান আর আগামীর প্রতিটি পদক্ষেপে
তুমি নিঃশব্দে শুনেছো হৃদয়ের শব্দ
কতো রাত তুমি জেগে কাটিয়েছো
অসুস্থতায় আমার বুকের পাশে বসে,
অমাবস্যার আঁধারে একলা তুমি কেবল বুঝেছো।
আমার নীরব কান্না, বেদনার প্রতিটি ইশারা
আমার দুঃখে তোমার বুক কেঁপে উঠেছে,
আমার কান্নায় তোমার চোখে নেমেছে অশ্রুর ঢল
আমার দুরন্তপনায় বিনিদ্র রাত কাটিয়েছো তুমি,
কান্না থামাতে স্তনের বোঁটা তুলে দিয়েছো ঠোঁটে,
সেই পরম স্নেহের পরশে শান্ত করেছো আমায়।
সে মমতাময়ী নারী তুমি—আমার মা,
তোমার কোলে কেটে গেছে কতো শ্রাবস্তীর রাত আর দিন
তোমার ভালোবাসায় ছিলো নিরাপত্তার এক ছোঁয়া,
তোমার স্নেহে ছিলো ক্ষুধার্ত হৃদয়ের অমলিন শান্তি
তুমি আমার জীবনের আলোকধারা,
তোমার স্পর্শে পেতাম বেঁচে থাকার শক্তি।
তোমার ঘুম পাড়ানিয়া গানে আসতো শান্তির সুর,
মধ্যরাতের আকাশে গোলাপি চাঁদের মতো সৌন্দর্য
তোমার সহজ কথায় লুকিয়ে আছে
জীবনের এক গভীর মহাকাব্য,
তোমার ছোট্ট উচ্চারণে ফুটে ওঠে
প্রেম আর আত্মত্যাগের অগ্নি-স্ফূলিঙ্গ।
তোমার চোখে দেখি এই পৃথিবীর সমস্ত রূপ
তুমি ছাড়া এই মমতার প্রতীক আর কেউ নয়—
তুমি কেবলই আমার মা।