শুধু তুমিই বুঝেছিলে আমার
চিৎকার কাঁদে বেদনায়
আমার ইশারা তোমাকে কাঁপিয়ে তুলেছিলো
যন্ত্রনার বুনো দাঁত তোমার অন্তর্গত প্রদাহে
ভুমি রোদনে তোমার চোখে সমুদ্রের বান ডেকেছিলো
ভেবে আমি আভূমি নত হয়ে থাকি মা—
শ্রাবস্তীর রাত-দিন-প্রহর কেটে গেছে কত
তোমার স্তন মিশেছে ভোলগা থেকে প্রশান্তর’জলধিতে
আমার অতীত বর্তমানে তোমার আতুড়ের ঘ্রান
প্রবাস থেকে এই ঘ্রানের নেশায়
বার বার চলে আসি তোমার প্রানের কাছে-----
নিরাপদ উষ্ণতার ছোঁয়া রেখে তারপর অলকানন্দার জলে ভেসে চলা-
শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসের সজীবতা
সব তোমার স্পর্শে ছিলো নিবিড়
অথচ সবকিছু ছেড়ে তুমি এখন
মধ্যরাতের কৃষ্ণকালো আকাশে নক্ষত্রের ভিড়ে।
শূন্যের ভেতর যে বিশালতা
সহজ শব্দের মধ্যে যে এক মহাকাব্য
ছোট্ট উচ্চারনে যার চোখে শোভিত পৃথিবীর রুপ
সে আমার মা।