আমি সে পৃথিবীতে পৌঁছাতে চাই


যে স্বপ্নের ভেতর হাতছানি দিয়ে ডাকে অজ্ঞাত কোন দূর থেকে

যে আকাশের নীলে নীলে, সাগরের সফেদ ঢৈউয়ে ভেসে বেড়ায়

সেই অজ্ঞাত সুন্দরের কাছে আমি পৌঁছাতে চাই।

সেখানেই খুঁজে পাবো আমার অস্তিত্ব

আমর পিতা, প্র-পিতামহের অপূরনীয় স্বপ্নের ঠিকানা

অপার নীলিমার বুকে মিশে থাকা আমার প্রেরনা

আমি সেই অজ্ঞাত স্বপ্নের পৃথিবীতে পৌঁছাতে চাই।

 

আমার বর্তমান নিশ্চল, শীতের তুহিনে আবৃত

দ্রোহহীন সৈনিকের ভালোবাসা, সাহারার হাহাকার

শক্ত বরফ জমাট বেঁধে আছে শিরা উপশিরা ধমনীতে

প্রানহীন, বায়ুহীন, প্রেমহীন জীবনের অসুর জাড্যতা

যা নিরন্তর দহনের জ্বালায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে

তাকে ছুড়ে ফেলে দিতে চাই

যার কোন অস্তিত্বই থাকবেনা এই পৃথিবীতে

এক নতুন প্রত্যয়ে জেগে উঠবে নতুন সকালের সূর্য

মেঘকজ্বল মায়ায় যে বহন করবে এক নতুন আশার বানী

প্রানের উত্তাপে ঝরে পড়বে হলুদ পাতাগুলো

প্রপাতের উন্মাদ গর্জনে উদ্বেলিত হবে সারা পৃথিবী

ভেসে বেড়ানো মেঘগুলো বিচিত্র হোক সে কলগীতিমূখর লীলায়-

আমার চোখে নেমে আসুক উচ্ছ্বাসের দমকা

সেই অজ্ঞাত পৃথিবীতেই আমি পৌঁছাতে চাই।

আমি বুঝতে পারছি আমার এ অঙ্গহীন সত্তার কোন মানে নেই

আমার স্বপ্নেরা আমাকে ডাকছে অনবরত

তার ইশারা পাচ্ছি আকাশে, বাতাসে, গাছেদের পাতায় পাতায়

খোল না ভাঙ্গা ডিমের ভেতরে থাকা অজাত পাখির আকুতিতে

সকালের হিমেল বাতাসে, মাছরাঙার বিরহে, জোনাকীর শব্দে

আমার প্রেয়সীর বনলতা কেশে

যারা আমার অস্তিত্বকে নাড়া দিয়েছে

আমাকে সেই অজ্ঞাত পৃথিবীতে পৌঁছাতে হবে।