পৃথিবীতে যদি কোন যুদ্ধ না হতো
পৃথিবীটা হতো অন্যরকম, নির্মল আকাশের মতো
হিমেল হাওয়ায় ভরে যেত মানুষের বুক
কিশোরির ঠোঁট আন্দোলিত হতো ভালোবাসার শব্দে
বনলতা কেশে চুমু খেয়ে যেত ভূমধ্যসাগরের কোন জলকনা
পূর্নিমার চাঁদ উঁকি মেরে যেত আমার প্রেয়সীর ঘরে।
পৃথিবীতে যদি কোন যুদ্ধ না হতো
আমরা পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করতে পারতাম
আমরা প্রাচ্য আর প্রাচ্যাত্যের হৃদয়ে প্রেমের দ্বীপ জ্বালাতে পারতাম
আকাশের কালো মেঘগুলোকে ধরতে পারতাম
মানুষের চুল্লীতে রান্না হতো শিশুদের সুস্বাদু খাবার
একটি পাখিও আর ফিরতো না নীড়ে কামানের ভয়ে।
পৃথিবীতে যদি কোন যুদ্ধ না হতো
হাজার বছরের ফসল একদিনে উঠতো গোলায়।
বিজ্ঞানীরা চাঁদ ও নক্ষত্রকে আনতে পারতো পৃথিবীতে
লক্ষ্য শিশুর অকাল মৃত্যু এড়াতে পারতাম
আমাদের চুল হতো না ধূসর এতো তারাতারি
আমরা মুখোমুখি হতাম না কখনো দুঃখ আর বিচ্ছেদের
হতাম না কেউ উদ্বাস্তু কিংবা শরনার্থী।
পৃথিবীতে যদি কোন যুদ্ধ না হতো
পৃথিবীর মানুষগুলোর হতো অন্যরকম
প্রতিটি বুলেট আর মিসাইলের শব্দ হতো কবিতার শব্দ
মানুষের কান্না হতো মিশরীয় দেবতা হাতরের অপূর্ব সুরের কন্ঠ
মানবতার চাদরে আবৃত হতো পৃথিবীর শরীর
আর মানবজাতির কথা হতো ভালোবাসা।
পৃথিবীতে যদি কোন যুদ্ধ না হতো
মানবতা সত্যিই স্বীকৃতি পেত।