হে পৃথিবী একটু শোন


হে পৃথিবী একটু শোন, একটু শোন আমার কথা

বালিয়াড়ি করছে খাঁ খাঁ, উড়ছে ধূলো ধূসর ধূসর

নদীর বুকে কান্না কিসের, আমার বুকে ছলাৎ বাজে?

অমল ধবল উর্মিরা সব ভোর বিহানে মৌন কেন?

 

একট দাড়াও, যা্ছো কোথায়?

আরো কথা বলার আছে,

পইখ-পাখালি গাছের ডালে কেমন দেখো কাঁদছে তারা

আকাশেতে চেয়ে দেখো আইবুড়ো রোদ অন্যমনা,

গতরাতে বৃষ্টি ছিলো, তবু ঘাসের মড়ক কেন?

 

আজকে ফুলের আকাল হলো, সব ফুল যে ঝরে গেছে,

পূজোর বেদী শূন্য বলে মা দেবীর আজ মুখটি করুন

কোথায় গেল সকাল হতে, নদীর পারের হিমেল বাতাস

মাকড়সা আজ জাল বোনে না, কাঁপছে কেমন আর্তনাদে।

 

আমার কথা শেষ হয়েছে, হে পৃথিবী এবার বলো

কেমন করে এমন হলো, সবকিছু আজ ওলোট পালোট,

বিষাদ, গভীর বিষাদ নিয়ে দূর্দিনে আজ চলছি হেঁটে।

ওমা! কি হয়েছে? হে পৃথিবী

তোমর মুখটি পাংশু কেন?

 

হঠাৎ এবার আকাশ জুড়ে, বলছে কথা করুন সুরে

গাছ-গাছালি বনের পখি, নদীর পানি সূর্যকণা

সুখ আমাদের গ্রাস করেছে, বারুদ জ্বালা-বিষের জ্বালা,

দেখছ না ভাই, চাঁদ আকাশে কাঁপছে কেমন আর্তনাদে।

হে পৃথিবী আর কিছু নয়, এবার আমি যাচ্ছি ফিরে

তোমার বুকের অনল-দহন আমার বুকে বাড়ায় ক্ষত

বুঝছি এবার ছিন্ন ভিন্ন সবকিছু হয় কেমন করে,

চাঁদ আকাশে অসস্থ যে, তাই দুনিয়ার বড্ডো অসুখ।