চরিদিকে ধূসর পান্ডূরতা, দম বন্ধ করা অসুস্থ বাতাস
জানালাটা খুলে দাও
প্রানভরে একবার নিঃশ্বাস নেই মৃদু সমীরনে
ভরে যাক বুকটা কোন আমলকী-বাতাবীর গন্ধে।
গৌধূলীর আকাস ভরে যাক জোসনায়
শব্দের জলসিড়ি পাখিদের কুজন
নেচে যাক ময়ুরী বালুকা তটে।
তোমার শরীরে ঝড়ে পড়ুক কিলিমান্জারো থেকে নেমে আসা ঝর্না
বনলতা কেশে বয়ে যাক দখিনা বাতাস।
জানালাটা খুলে দাও
শুনতে দাও নিস্তব্দ রাত্রির নিবিরতার শব্দ
কোন দূর থকে ভেসে আসা অর্ফিয়ুসের বাঁশীর শব্দ
কোন ঘুম জাগানিয়ার `জাগতে রহ জাগতে রহ-র শব্দ কিংবা
নিশাচর প্রানীর ডানা ঝাপটার শব্দ
শুনতে দাও
শুনতে দাও আমায়
আদিম অসভ্যতার ধ্বনী-প্রতিধ্বনী।
জানালাটা খুলে দাও
পৃথিবীর বুক থেকে ভেসে আসুক কাকাতুয়া দোয়েলের সুমধুর ধ্বনী
তোমার খোঁপার গোলাপের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ুক চারিদিকে
লজ্জায় অবনত হোক চম্পা-চামেলী
শিশির ধোয়া ঘাস ফড়িং এর খেলায়
ভরে উঠুক প্রাঙ্গন
তৃষ্ণার্ত চোখে দেখতে দাও পূর্নিমার চাঁদ।
জানালাটা খুলে দাও
পৃথিবীর আলোয় ভরে যাক প্রান
মুছে যাক জীবনের সব অবসাদ।