জীবনের গন্ডোলায় ধীরে ধীরে হাঁটাচলা
চলে ঠিকঠাক। পয়োধীর উর্মি যেমন
স্মৃতির বৈতরনী শুধু থেমে থাকে থেমে যায়
কাঁদে অবেলায়, ক্লান্ত পথিক স্মৃতি স্বপ্নচারী ভ্রান্ত নয়ন।
সর্পিল আঁকা-বাঁকা বন্ধুর পথ কন্টকময়
সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, জরা-জীর্নের বসতি
কর্তনে কর্ষনে স্থবির জাড্য হয় চিন্ময়
যতিহীন-প্রেমহীন, রুদ্ধ জীবনের স্বগতি।
সামাজিক ভালোবাসা প্রেম-পূণ্যে সামাজিক জীব
অমিয় বিশ্বাসে, শোভন বন্ধুত্বে হেঁটে চলে হেঁটে চলে
অন্তরে বাইরে কঠিন রুদ্ররোষ পার্থিব
পৃথিবীতে ভরে থাকে সব কিছু গরলে।
আপন আপন করে যেখানে পেতেছি ঘর
চেয়েছি পেতে বন্ধুর ভালোবাসা, স্বস্থির নির্ভরতা
সেখানে দেখেছি কুটিল হিংস্রতা, স্বার্থপর
মানুষ ভর করে বিবশ মরুর খরা রুক্ষতা।
অথচ যাদের ভাবিনি কখনো রেখেছি দূরে ঠেলে
মিত্রের সখ্যতা হৃদয়ের বন্ধন, সে তো দূর ছাই!
অনিকেত সময়ে ওদেরই আঁখি ছল ছলে
ভ্রুকুটি নহে-হিমাদ্রির স্নেহ ভলোবাসা পাই।
ক্লান্ত পথিক শ্রান্ত দিবসের অবসনে
বিরক্ত হৃদয়ে শুনি, আহা অস্থির অশ্বেরা
দাপাদাপি করে অবিরাম অবিরল মিন্ময়িতানে
তবুও হাঁটি, যেমন হাঁটে অন্য সব মানুষেরা।