আমার ভিতরে এক ভুভুক্ষু আর্তনাদ
অনেক পাহাড় পর্বত জনপদ পেড়িয়ে
একটি জীর্নকুটিরে কাঁদে
স্যাঁত স্যাতে শ্যাওলা ধরা চার দেয়ালে খসে পড়ার অপেক্ষায়
ইটের পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে।
এক অসহ্য যন্ত্রনা
প্রতিদিন প্রতিরাত শুশ্রুষার অপেক্ষায়
এক সারি পিপীলিকা খাদ্যের অন্বেষনে দলবেঁধে ছোটে
মাথার উপরে কতোগুলো শকুন-শকুনি
মৃত্যুর গন্ধ পেয়ে ঘুরপাক খায়।
আমার ভিতরে এক ভুভুক্ষু মৃত্যুর ভয়াবহতা
দূরত্বের ব্যবধান ছড়িয়ে
স্যাঁত স্যাঁত শ্যাওলা ধরা ওই চার দেয়ালের খসে পড়া
ইটের পাঁজরে কাঁদে।
প্রানহীন এই অনুভূতি
মানুষের দোর গোড়ায় মুচকি হাসে
আমি বুঝতে পারি
আমি মাটি শুকে আর
সেই সতেজতার গন্ধ পাই না
কতোগুলো আবর্জনার অভ্যন্তরে
সেই সোনার মাটির সোনার গন্ধ
খোঁজার ব্যর্থ প্রয়াস
আমার ভিতরে এক ভুভুক্ষু কান্না জমে থাকে।
দূরত্ব কমে যায়
সেই স্যাঁত স্যাঁতে শ্যাওলাধরা
চার দেয়ালের জীর্ন কুটিরে
আমার কান্না সযতনে লালিত হয়
প্রতিদিন প্রতিরাত্রি প্রতিটি অজস্র মূহুর্ত।