আমি সারা দিন পৃথিবীর বুকে
দাঁড়িয়ে থেকে একমুঠো
স্নিগ্ধ রোদ্দুর চেয়েছিলাম।
অতঃপর দিনের শেষ প্রহরে
তুমি আমায় এক মুঠো
বাসি রক্ত দিলে উপহার।
সকালের আর দুপুরের ব্যাস্ত পৃথিবী
অনাবিল এক ক্লান্তিতে আচ্ছন্ন যখন
দিনের এই শেষক্ষন টুকুতে
আমি তখন জেগে উঠেছি
একরাশ আবর্জনার স্তুপ ঠেলে।
অতঃপর ধীরে ধীরে তোমার কাছে গিয়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম।
তুমি অধরে গোলাপী প্রলেপ মেখে
আমার বুকে একবাটি
রক্ত ছুড়ে দিলে।
আমি রক্তাক্ত হয়ে গেলাম।
নদীরা সব বিষন্ন হয়ে গেলো
পাখিরা সব নির্বাক চোখে তাকিয়ে রইলো
মেঘেরা ঝরালো কান্নার বৃষ্টি
অথচ তোমার কোন ক্ষত হয় নি।
আমার জন্য আজ আর কষ্ট হয় না তোমার
অথচ আমি জানি
ফুলের জন্য কাটার বুকে কতো কষ্ট জমে থকে।
ওখানে সূর্যাস্ত নয়
তোমার ছুড়ে দেয়া সে রক্তের খেলা বসেছে।
তারপর গভীর অন্ধকারে
তা হারিয়ে যাবে
অনেক রক্ত জমে জমে যেমন কুচকুচে কালো হয়ে যায়।
আমাকে চিনতে হয়তো ভীষন কষ্ট হচ্ছে তোমার
কি আশ্চর্য
তুমি দেখতে পাচ্ছো না?
এই তো সেদিন সামান্য জ্বর হয়েছিলো আমার
সারাদিন তুমি আমার চোখে চোখ রেখে
তাকিয়ে থেকেছো এক দৃষ্টে।
অথচ আজ কি এক জটিল রোগে
জরাজীর্ন আমি
তোমার দিকে তাকিয়ে আছি কতো সময়
ইশারায় বলছি আমার কাছে এস বসো।
মনে হয় তুমি দেখতে পাচ্ছো না?
তুমি বধির হয়ে গেছো
তুমি অন্ধ হয়ে গেছো
অথচ তোমার সামনে দাঁড়িয়ে এই আমি
অনড় হয়ে আছি।
আমার অক্ষয় মূর্তি
জনিনা কতোকাল
তোমার সামনে এমনি দাঁড়িয়ে থাকবো।