এসো অলকানন্দার জলে ভাসি-


সমু্দ্রের মতো বিশাল, উদ্ভাসিত এবং নান্দনিক

শব্দহীন, প্রগাঢ়, গন্ধকমলের মতো সুভাষিত

অলকানন্দার বলাকা জল, মেহগিনি ইউক্যালিপটাসর

পথ পেরিয়ে দেখি ঘাস-ফড়িং এর খেলা।

কখনো কাকচক্ষু জলের শব্দে মূখর

কখনো নিঃশব্দ,

ধল্রহরের শেষ চন্দ্রিমার আলতো হাসি।

উপরিগত ও অগভীর কিছু কথা থাক না তোমার আঁচলে বাঁধা

অনুচ্চারিত শব্দের গভীরতাহীন

প্রানের প্রগাঢ় জলে ভাসে রাজহাঁস

কোথায় উড়ে যায় দূরন্ত বলাকা

জানা নেই – তব উড়ে চলে, মেঘ ছুঁতে চায়

পরম আহ্লাদে।

তৃষ্ণার্ত চোখ খুঁজে দেখে মেঘলা আকাশ

ভালোবসা যে আজ রোদেলা সকালে খায় পান্তা মরিচ

কেনা বেচার পন্যে বাজার অর্থনীতির শকুন ওড়ে

পদ্মার স্থিত জলে ডুব দেয় মধ্যরজনী -পূর্নিমা চাঁদ

আফ্রিদিতীর সজলা চোখ তখনও

মেঠো পথ ধরে খালি পায়ে হেঁটে চলে, শিশিরের বাড়িঘর মাড়িয়ে

ফালগুণী ভোরে ঘসের ক্যাফেতে সুর উঠে

ধ্রুপদী যন্ত্রেও  তারপর শব্দহীন সময়

নেমে আসে তোমার চুলে বর্নে গন্ধে

এক জোড়া রাজহাঁস তখনও অলকানন্দার জলে

ভাসছে-বাসছে-ভাসছে-