অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দাঁড়িয়ে


ছুটছে কোলাহর মূখর ব্যাস্ত শহর, ছুটছে একউদভ্রান্ত সময়

ঝড়োরাত্রির মতো কিছু ছোপ ছোপ অন্ধকার লয়ে ছুটছে ঝড়ো জীবন

স্রোতের বিপরীতে চলতে চলতে কানে আছরে পড়ছে

পাজরের পুস্পিত ঘ্রান। ব্যাস্ত নাগরিক জীবনের মধ্যেও পরান মাঝির হাঁক আসে ভেসে।

হেমন্তেও পড়ে থাকা শস্যের মতো আমাদেরও স্বজনের করোটি যারা বর্ষাবিদ্ধ করে

এক বুক হাহাকার বুকি জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে

একাত্তরের পথে-প্রান্তরে-তার স্মৃতিতেশ্রদ্ধাবনত চিত্বে দাঁড়িয়ে থাকি-

অপরাজেয় বাংলা-আমার চেতনায় বিশ্বাসে পিদিম জ্বালে সাত-সমু্র তের নদী পার হলেও

বুকের ভেতরে সে দাহকাল শেষ হয় না।

 

অসংখ্য ভয়াল কৃষ্ণপক্ষের রাত আর যেন না আসে

অসংখ্য নারীর অসহায় কান্না এখনও বাতাসে বাসে খোঁজে হারানো জনের মুখ।

অযুত কষ্টের পথ পেরিয়ে পথের পাথরও যেন

বলে যায়-

আমাকে তোমরা অপরাজেয় থাকতে দাও।