সেই অনাগত পৃথিবী


আমি সেই অনাগত পৃথিবীর জন্যে
এক সরবিদ্ব আহত পাখির মতো
অসহ্য যন্ত্রণাকে বুকে ধারন করে বেঁচে আছি
যেমন বেঁচে থাকে বন্যায় ভেসে যাওয়া ঘর গেরস্হালী মানুষেরা।

আমি এক সুন্দর গৌধুলীর প্রতিক্ষায়
প্রতিদিন প্রতিরাএির অজস্র মূহুর্ত
ধারালো ইস্পাত দিয়ে ব্যাবচ্ছেদ করেছি
অসংখ্য পূর্নিমার রাত।

আমি একটি শিশুর অমল হাসির জন্যে
একটি মায়ের,
একজন কৃষকের, মজুরের, তাঁতীর, শ্রমিকের
বেকার যুবকের
কিংবা একজন মুক্তিযোদ্বার
স্বপ্ন সফলতার জন্যে
বার বার দুঃসময়ের অস্তির পাজালায়
নিজিকে করেছি সমর্পন
আমি একটি গোলাপের অনিন্দরুপের জন্যে
ধলপ্রহরে সমুদ্রতীরে হেঁটে হেঁটে
দূর সমুদ্রগর্ভ থেকে ভেসে আসা
অশান্ত গর্জন শোনার জন্যে
বুকের ভেতর জমা করে রেখেছি একদলা কৃষ্ঞবর্ন থুতু
উগরে দিতে চেয়েছি দুঃসময়ের মুখে
আমি পারিনিঃ
আমি পারিনি একজন নুরজাহানকে বাঁচাতে
যেদিন অসুরের দল আমার চেনা এ সুন্দর পৃথিবীকে
ধর্ষন করে চলে গেলো
এখানে আজ কোন নির্মল বায়ু নেই
এখানে সমুদ্রের গভীরতা কিংবা আকাশের বিশালতা নেই
রাতের নিস্তব্দতা, ঘাস, ঘাস ফড়িং, আমলকী গন্ধ
সুখ, আনন্দ, ভালোবাসা
কিংবা বর্ষার মেঘমেদূর গর্জনঃ
কিছুই নেই
এখানে কোন শব্দ নেই, তাই কবিতাও নেই
এখানে কোন রাজনীতিবিদ নেই
তাই কারো বক্তিতা শুনতেও কেউ আসেনা

আমি সেই অনাগত পৃথিবীর প্রতিক্ষায় আছি
যেদিন শব্দের প্রচন্ড বিষ্ফোরনে
আন্দোলিত হবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া
ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হবে একালের সর্বশ্রেষ্ট কবির অমর কবিতাখানি।

আমি সেই অনাগত পৃথিবীর প্রতিক্ষায় আছি
যেদিন সমগ্র জাতি সৌভাএে মিলিত হবে এক বিসাল জনসভায়
আর যিনি মনঞ কাঁপিয়ে বক্তিতা করবেন
তাঁর কন্ঠ থেকে নিঃসৃত হবে
অগ্নিস্ফুলিংগের মতো সত্যবদ্ব বানী।