যখন মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশুনা করতাম তখন অষ্টম শ্রেনিতে সংস্কৃত পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এখন বাংলাদেশে সংস্কৃত আর পড়ানো হয় না। শুধু দু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদুঘরের মতোই দর্শনীয় বস্তুর মতো খুব সীমিত আকারে পড়ানোর ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। এই প্রজন্মের অনেকেই জানে না যে সংস্কৃত সম্ভবত বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ভাষা যা আজও ব্যবহৃত হচ্ছে পৃথিবীর নানা দেশে। বর্তমানে কপ্টিকের মতোই, সংস্কৃত মূলত ধর্মীয় গ্রন্থ এবং হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে ব্যবহৃত হয়। সংস্কৃতকে হিন্দুধর্মে প্রাচীন ভাষা হিসাবে গণ্য করা হয়, যেখানে এই ভাষাটি মূলতঃ হিন্দু স্বর্গীয় দেবতাদের দ্বারা এবং তারপর ইন্দো-আর্যদের দ্বারা যোগাযোগ এবং কথোপকথনের একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হতো। জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মেও সংস্কৃত ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যা হোক মূল আলোচনায় আসি। স্কুলে সংস্কৃত পড়াকালীন সময়ে আমাদের শ্রদ্ধেয় পন্ডিত স্যার খুব ভালো করে সুর তুলে সংস্কৃতের শ্লোকগুলি পড়াতেন। মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেগুলো শুনতাম। তারমধ্যে একটি শ্লোক আমি খুব ভালোভাবেই রপ্ত করেছি। শুধু তাই নয় তার অন্তর্নিহীত দার্শনিক ভাবধারাকে দীর্ঘদিন যাবৎ নিজের মধ্যে ধারন এবং লালন করে চলছি খুব স্থিত প্রাজ্ঞের সাথে। বিশ্বাস করতাম খুব দৃঢ়ভাবে। দুই লাইনের এই শ্লোকটি হলো: বিদ্বত্বঞ্চ নৃপত্বঞ্চ নৈব তুল্যং কদাচন। স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান্ সর্বত্র পূজ্যতে। অর্থাৎ পান্ডিত্যকে রাজত্বের সাথে তুলনা করা যায় না। কারন বিদ্যান ব্যাক্তি দেশে বিদেশে সব জায়গায় সন্মান পান আর রাজার সন্মান শুধু নিজের রাজ্যেই সীমাবদ্ধ। এই শব্দগুলো কেন জানি আজ বেমানান। বিবর্ন আর পান্ডূর। সময়ের বিবর্তনে এর শাব্দিক অর্থ একেবারে পাল্টে গেছে। উল্টোটাই যেন আজ এক বিমূর্ত সামাজিক দর্শন এবং বেঁচে থাকার নির্ভরতা। অন্ততঃ আমাদের দেশের সামাজিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাপনায় এটাই ধ্রুব সত্য।
শিক্ষা বা বিদ্যাকে মানবজীবনের সকল সম্পদের মধ্যে সবচেয়ে উঁচুতে স্থান দেওয়া হতো। এখনো অনেক দেশেই সে সন্মানটা অটুট রয়েছে। যে ব্যাক্তি এই অতুলনীয় সম্পদকে সম্যকভাবে অর্জন করতে পারেন তিনিই সত্যিকারের বিদ্বান। আর সত্যিকারের বিদ্বান ব্যাক্তি পান্ডিত্বের অধিকারী এবং সকলের নমস্য। সমাজে পান্ডিত্বের স্থান সন্মানজনক যা শুধু নিজের দেশেই নয় বরং পৃথিবীর সব দেশেই সমভাবে পূজ্য। প্রকৃত বিদ্বানকে মানুষ চিরকালই স্মরনে রাখে, তার আদর্শকে ধারন এবং লালন করে। পৃথিবীর মহান দার্শনিক বিদ্যান পন্ডিতেরা শ্রদ্ধার সাথে বেঁচে আছন এবং বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে নানা প্রজন্মের মানুষের মনিকোঠায় পরম ভলোবাসা আর শ্রদ্ধায়। যেমন সক্রেটিস, প্লেটো, সেক্সপীয়ার, পুশকিন, শেলী, কিটস, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জসিমউদ্দীন প্রমুখ বিদ্বান পন্ডিতেরা। মৃত্যুর পরও মানুষের মধ্যে বেঁচে আছেন আলোকবর্তিকা হয়ে, সমাজ খুঁজে পায় সমাজের নানা অশৃংঙ্খল পরিস্থিতিকে শৃংঙ্খলে আনার সমাধান। অথচ একজন রাজার সন্মান শুধু তার নিজের দেশেই সীমাবদ্ধ। বিদেশে রাজাকে কে সন্মান দেবে? তা শুধু রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক আচরিকতাই সীমাবদ্ধ। রাজার আধিপত্য শুধু স্বদেশে আর পন্ডিতের আধিপত্য সর্বত্র। পৃথিবীর কতো রাজাই রাজত্ব করেছেন। কিন্তু কেইবা তাদের খবর রাখে। মৃত্যুর পর সব রাজা-বাদশাই স্থান নেন ইতিহাসের পাতায়। পন্ডিত স্যার খুব প্রত্যয়ের সাথে শোনাতেন সহস্র মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বানই শ্রেষ্ট।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ কথার কোন মানে আছে কি? অতীতে আমরা সকলে শিক্ষা এবং শিক্ষককে শ্রদ্ধার চোখে দেখতাম। শিক্ষক মানে গুরুজন। একজন শিক্ষক হলেন দাতার সত্যিকারের প্রতীক, তারা শিক্ষার্থীদেরকে ভালোবাসেন, পরম যত্ন করে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাতে চেষ্টা করেন। তারা ধৈর্য, ভালবাসা, প্রতিশ্রুতি এবং সততার সাথে তাদের সময় এবং জ্ঞান বিলিয়ে দেন। একজন শিক্ষক হলেন সেই স্বচ্ছ ঝর্ণার মতো যা আপনার সন্তানকে চিরকালের জন্য অনুপ্রাণিত করবে বিনয়ের সাথে। কিন্তু শিক্ষকরা আগের মতো আর সম্মানিত নন। একটা সময় ছিলো যখন পন্ডিত স্যারর মতো সকল শিক্ষককেই সকলেই সন্মান করতো তাদের বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান এবং সামাজিক অবস্থানের কারনে। সকল গুরুজনদেরকে শ্রদ্ধা করাটাই ছিলো সামাজিক প্রথা কারন তারাই ছিলেন আলোর দিশারী এবং জীবনকে মানবীক করে তুলার হাতিয়ার কিন্তু আজ পরিস্থিতিটা অন্যরকম। এখন অনেকেই ছোটদেরকে সন্মান করে নিজের আত্ম-সন্মানকে রক্ষা করার জন্য, উদের উদ্ধত এবং অশুভ দূরন্তপনা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। এখন আমরা অনেকেই সুজন নয় বরং দূর্জন আর মূর্খকে নিয়ে গর্ব করি, প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠি আর সমাজের সবচেয়ে উঁচু স্থানে শ্রদ্ধাভরে আসীন করি, কারন তাদের কারনেই যে আমরা বেঁচে আছি ঘর-গেরস্থালী নিয়ে। অন্যথায় পদে পদে বিপদের শংকা। দূর্জনের স্তুতিই যে একমাত্র সামাজিক নিয়ম। এই যদি হয় বেঁচে থাকার বাস্তবতা সে সমাজ কখনোই মানবিক হতে পারে না।
আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই আছেন যাদের জীবনের সাথে অন্ততঃ এমন একজন শিক্ষকের নাম জড়িয়ে আছে যিনি আমাদের বিকাশের কোনো এক সময়ে আমাদের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছিলেন, এমন একজন যিনি আমাদের উপর আশির্বাদের করস্পর্শ বুলিয়ে দিয়েছিলেন এবং আমাদের আজকের একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অবদান রেখেছিলেন। অথচ আজকের সমাজে এই শিক্ষকরাই লাঞ্চিত, অপমানিত এবং অশ্রদ্ধেয়। আমাদের পিতৃতুল্য শিক্ষকরা আজ তাদের শিক্ষাত্রীদের দ্বারা নিপীরিত হন, পড়ানো হয় জনসাধারনের সামনে জুতোর মালা। ছাত্রের হাতে নিহত হয় শিক্ষক তারও নজীর আছে। কোথায় আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ? কোথায় আমাদের নৈতিকতা? যে জাতি শিক্ষকের সন্মান দিতে জানে না সে জাতীর মানুষেরা বড্ডো অসহায়, দূর্বল আর ক্লীব।
শিক্ষক সমাজের একজন প্রতিনিধি যিনি নৈতিক শিক্ষার দিশারী। একটি দেশের উন্নয়নে, শিক্ষা এবং শেখার পাশাপাশি ভাল নৈতিকতার দিকে খুব মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার জন্য নম্র, নৈতিক এবং স্থিত-প্রাজ্ঞ শিক্ষকের চেয়ে আর কেউ উপযুক্ত নন। শিক্ষকরাই সমাজের শিরদাঁড়াটাকে সোঁজা এবং মজবুত করার সত্যিকারের কারিগর। অথচ আমাদের বর্তমান সমাজে তার কোন মূল্য নেই। শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশী অবহেলিত, লাঞ্চিত এবং বঞ্চিত সমাজের প্রতিটি স্তরে। তার জন্য শুধু শিক্ষার্থীরাই দায়ী নয়, তাদের পিতামাতারাই তার জন্য সবচেয়ে দায়ী। ছোট বয়স থেকেই ভালো ফলাফল, প্রতিযোগীতা আর অর্থর্নৈতিক সাফল্যের অসুস্থ স্বপ্নের ভূত মাথায় চাপিয়ে দেয়া হয়। আমাদের বর্তমান সমাজ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য শুধুমাত্র সেলিব্রিটি, অভিনেতা, রিয়েলিটি টিভি ব্যক্তিত্ব এবং ক্রীড়া তারকাদেরই পুরস্কৃত করে, তাদের প্রশংসা পঞ্চমূখ হয় এবং সম্পদের বন্দনায় লিপ্ত হয়। যে যতো আর্থিকভাবে সফল সেই ততো নমস্য এবং শ্রদ্ধেয়, হোক না সে কুশিক্ষিত, হারামখোর, ঘুষখোর, হত্যাকারী, ধর্ষনকারী কিংবা ভয়ানক জেলে থাকা দুধর্ষ আসামী। সবক্ষেত্রে শুধু সম্পদের জয় জয়কার। কী অসুস্থ সামাজিক অবক্ষয়! যে সত্যিকারের সমাজ গড়ার নায়ক তাকে আজ এতটাই জঘন্যভাবে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে যে আমরা প্রায়শই সত্যিকারের নায়কদের আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখিনা, আর যাদেরকে পাই তার হলো সমাজের কিছু মানুষরুপী অশুভ প্রেতাত্মা। অথচ আমাদের পরিচিত প্রত্যেক শিক্ষকই কোনো না কোনো শিশুর জীবনে উন্নতির মুকুটটি একাধিকবার পরিয়ে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস শিক্ষকদের প্রতি এই মনোভাব শুধু নৈতিকভাবেই ভ্রান্ত নয়, এটি একটি সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংশ করার জন্য যথেষ্ট। আমরা যদি ক্রমাগত শিক্ষকদেরকে অশ্রদ্ধা করি, আক্রমণ করি, অন্যায় আচরন করি তাহলে আমরা প্রতিভাবান স্নাতকদের প্রজন্মকে অনুৎসাহিত করবো এবং পুরো সমাজটাকে দূর্বৃত্যায়নের দিকে ঠেলে দেবো।
শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে শুধু শিক্ষক হিসেবেই নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করছেন না, তারা সাথে সাথে অনেক কিছুর দায়িত্বও পালন করছেন। তারা কখনো শিক্ষাবিদ, কখনো সেবা দানকারী, পরামর্শদাতা, রক্ষক, কিংবা পিতৃ বা মাতৃত্বের মতো আশির্বাদ, ভালবাসা এবং উৎসাহ প্রদানকারী। আবার অনেক শিক্ষক আছেন যারা দিনের পর দিন নিষ্ঠার সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্বেগ নিয়ে ঘুমহীন রাত কাটান যেন প্রতিটি শিক্ষার্থী জীবন উন্নতির সোপানে উন্নীত হতে পারে। কৃতিত্ব উদযাপন করার সময় তারা সন্তানের পিতামাতার মতোই গর্বিত হন এবং শিক্ষার্থীদের অসফলতায় কিংবা যে কোন দুঃখে পিতামাতার মতোই বিধ্বস্ত এবং ভারাক্রান্ত হন। কি অমায়িক নান্দনিক সামাজিক দর্শন! শিক্ষকরাই হওয়া উচিৎ সমাজের শ্রেষ্ঠ পিতা-মাতা, মহান নায়ক, যার আশির্বাদের করস্পর্শে আর জ্ঞানের আলোকবর্তিকায় প্রশমিত হবে সামাজিক উৎকর্ষ এবং প্রজন্ম হবে উদ্যমতায় পূর্ন গীড়িশৃঙ্গের মতো অটুট। সমাজের প্রতিটি মানুষ শিক্ষকদের সন্মান করা উচিৎ- কারণ সমাজের ভবিষৎ তাদের হাতেই সবচেয়ে বেশী নিরাপদ। ইতিহাসের প্রতিটি মহান আবিষ্কারক, প্রতিটি মহান দার্শনিক এবং প্রতিটি মহান ধারণার পিছনেই রয়েছে একজন শিক্ষকের অবদান। মহান মানবীক নেতা - নেলসন ম্যান্ডেলা, মহাত্মা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান থেকে স্টিভ জবস, বিলগেইট, রতন টাটা - তাদের জীবনের প্রথম বছরগুলিতে একজন শিক্ষকের প্রভাব ছিলো অপরিসীম এবং তাঁরা শিক্ষকের প্রতি সবসময়ই ছিলেন শ্রদ্ধাশীল এবং কৃতজ্ঞ। অগণিত ভবিষ্যতের নেতা এবং সমাজের ভবিষৎ অবদানকারীরা একদিন তাদের শিক্ষকদের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হবেন এবং তাদের কৃতজ্ঞতার অর্ঘ্য সাজাবেন এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি বিশ্বাস করি আমার আপনার অতীতে একজন শিক্ষক ছিলেন যিনি আমাদের মাঝে আগ্রহের জন্ম দিয়েছিলেন এবং আমাদের আজকের মানবিক সাফল্যের প্রধান সহযোদ্ধা এবং আশির্বাদক। কি করে তঁদেরকে অবজ্ঞা করবো?
আমরা পছন্দ করি বা নাই করি, শিক্ষার প্রথম থেকেই শিক্ষকরাই আমাদের দ্বিতীয় পিতামাতার দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। তারা তাদের শিক্ষার্থীদের তেমন ভাবেই ভালোবাসেন ঠিক যেমন একজন পিতামাতা তাদের সন্তানদের ভালোবাসেন। পিতামাতারা তাদের দায়িত্ব পালন করেন মূলতঃ বাড়িতে আর শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে। পিতামাতা সবসময়ই নানাভাবে তাদের সন্তানদের জ্ঞান দান করেন কিন্তু জ্ঞান প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র শিক্ষকরাই করতে পারেন। তাই শিক্ষকদের অসম্মান করা সমাজে অগ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। এটি শিক্ষকদের প্রাপ্য সন্মান এবং আনুগত্যকে অস্বীকার করে। প্রতিটি ধর্মেও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ স্থান। লুবাবুল হাদিস গ্রন্থে জালালুদ্দীন আবদুর রহমান বিন আবু বকর আস-সুয়ূথি প্রথম অধ্যায়ে লিখেছেন, আল্লাহর রাসুল বলেছেন, "যে ব্যক্তি জ্ঞানী (শিক্ষক)কে সম্মান করে, প্রকৃতপক্ষে সে আমাকে সন্মান করল। যে আমাকে মহিমান্বিত করল, সে আল্লাহর প্রশংসা করল। তাহলে তার স্থান বেহেশতে।“ হিন্দুধর্মে শিক্ষকদেরকে ভগবানতুল্য ভাবা হয়, লর্ড শিবা ছিলেন আদিগুরু। তাই সত্যিকারের শিক্ষকদের অবমাননা মানেই ধর্মের অবমাননা। আমরা এমন একটি সমাজ দেখতে চাই যা হবে দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত এবং শিক্ষকের প্রতি জানানো হবে সর্বোচ্চ সন্মান। তার জন্য চাই নতুন চেতনায় সমৃদ্ধ এক নব জাগরন।
ড. পল্টু দত্ত