একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি হচ্ছে গুণগত শিক্ষা। কেবল পেশাগত দক্ষতাই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও আত্মবিশ্বাসের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করতে গুনগত ও সময়োপযোগী শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্বে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।, এই ধ্রুব সত্যটি যতো তাড়াতাড়ি আমরা বুঝতে পারবো ততোই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তা না হলে একদিন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে শ্রমবাজারে আমাদের কোন গতিই থাকবে না। জাতী হিসেবে আমরা অনেক পিছিয়ে থাকবো। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সত্যিকারের দক্ষ, নৈতিক এবং আত্মবিশ্বাসী জনগোষ্ঠী তৈরি করছে না বরং একটি অপুষ্টিতে আক্রান্ত পঙ্গু জনগোষ্ঠী তৈরি করছে যার অধিকাংশই আবার অসুস্থ দুবৃত্যায়নের মানসিকতায় নিমজ্জিত। শিক্ষায় আমাদের নিজস্ব এবং রাষ্ট্রীয় সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সময়োপযোগী করে বাস্তব সন্মতভাবে নৈতিকতার ভিত্তিকে পুনর্গঠন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা যে কোন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতৃত্বের যোগ্যতা গঠনের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যা কেবল তথ্যগত শিক্ষাই দেবে না, বরং শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও আত্মবিশ্বাসের সঠিক মিশ্রণ তৈরিতে সহায়ক হবে। প্রাচীন দর্শন এবং আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রয়োজনের সমন্বয় করে একটি কার্যকরী শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা অতি জরুরী। বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনের উপর জোর দিত। গুরু-শিষ্য পরম্পরা, যেখানে শিক্ষক শুধু শিক্ষার্থীকে জ্ঞান দিতেন না, বরং তাদের মানবিক গুণাবলী বিকাশে সহায়তা করতেন। কনফুসিয়াসের শিক্ষা-দর্শনে নৈতিকতা ও মানবিক সম্পর্কের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষা শুধু পেশাগত দক্ষতা নয়, বরং সমাজের প্রতি দায়িত্ব এবং আদর্শ নাগরিক হিসেবে আত্ম-উন্নয়নকেও সমান গুরুত্ব দেয়। একইভাবে, প্রাচীন ভারতের শিক্ষা-দর্শনে "গুরুকুল" পদ্ধতির মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু মূলনীতির উপর জোর দিতে হবে, যা শিক্ষার্থীদের জীবনব্যাপী শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করবে। সেই সাথে তাদেরকে নৈতিক চরিত্রসম্পন্ন ও আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলবে। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে নৈতিকতার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে বলে মনে হতে পারে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নৈতিকতা ছাড়া কোন সমাজ টিকে থাকতে পারে না। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠ্যক্রমে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা কেবলমাত্র চাকরির বাজারের জন্যই প্রস্তুত না থাকে, বরং সমাজের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যও সক্ষম হয়। আত্মবিশ্বাসী ও নৈতিক ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাতে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাচীন শিক্ষার নৈতিকতা, চিন্তা করার ক্ষমতা ও আত্মশুদ্ধির উপাদান সংযোজন করা উচিত। প্রাচীন শিক্ষার নৈতিক ভিত্তি এবং আধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণ একটি উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার প্রধান দিক হতে পারে। শিক্ষার্থীদেরকে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও উদ্ভাবনী দক্ষতায় পারদর্শী করতে হবে, যা তাদেরকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলবে। উদাহরণস্বরূপ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সকল শ্রেণির জন্য সমান শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। শহর এবং গ্রামের শিক্ষার ব্যবধান কমাতে হবে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের পটভূমি নির্বিশেষে সমান সুযোগ প্রদান করতে হবে। এজন্য সরকারী ও বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি, সৃজনশীলতা এবং শিল্পকলার ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ভিন্নধর্মী শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীল চিন্তাশক্তি এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারবে, যা দেশের শিল্প, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখবে। বাংলাদেশের চাকরির বাজারে ভারতীয়দের উপস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু আলোচনা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন যে ভারতীয় কর্মীরা বাংলাদেশের অনেক চাকরি নিয়ে নিচ্ছেন, বিশেষত প্রযুক্তি, ব্যাংকিং, ও আইটি খাতে। তবে, এ ধরনের অভিযোগ বা অন্যদের দোষারোপ করে কোনও লাভ নেই। বরং, আমাদের নিজেদের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস, এবং মনোভাবকে উন্নত করার মাধ্যমে আমরা দেশ ও বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারে টিকে থাকতে পারি এবং সফল হতে পারি।
ভারতীয় কর্মীদের আন্তর্জাতিক সাফল্য প্রমাণ করে যে, যদি কারো মধ্যে যথেষ্ট দক্ষতা ও ইতিবাচক মনোভাব থাকে, তবে সে শুধু দেশের চাকরির বাজারে নয়, বৈশ্বিক পর্যায়েও সফল হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা, এবং আইবিএমের সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণা, টুইটারের সিও পরাগ আগারওয়াল—তারা সবাই ভারতীয় এবং আজ বৈশ্বিক প্রযুক্তি জগতের প্রধান মুখ। পঞ্চাশটিরও বেশী বহুজাতিক কোম্পানির সিও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। কিন্তু এই সাফল্য শুধু তাদের ভারতীয় পরিচয় দিয়ে নয়, বরং তাদের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং তাদের নিরবচ্ছিন্ন শেখার মানসিকতার ফল। এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হতে পারে। আমাদের বুঝতে হবে যে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজার আমাদের জন্যও উন্মুক্ত। সারা বিশ্বে কাজের সুযোগ রয়েছে। যদি আমাদের দক্ষতা বাড়াতে পারি, সঠিক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে পারি এবং কখনও হাল না ছাড়ি, তাহলে আমরা কেবল দেশের মধ্যেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারব। কিন্তু কোন চিন্তা না করে সহজ ভাষায়ই বলা যায় এই পরিস্থিতি আমাদের এখনো তৈরি হয়নি। আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। তার জন্য আমাদের উচিত গলাবাজি আর মিথ্যাচার বন্ধ করা। মেধাবীর তকমা না পড়ে আগে মেধাবী হওয়ার চেষ্টা করা। চাকুরী নিয়ে গেল বলে অন্যের দোষরোপ করা থেকে বিরত থাকা মন থেকে ধর্মীয় কুসংস্কার আর গোঁড়ামিগুলোকে উপরে ফেলা। সাথে সাথে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে সবাইে সোচ্চার হওয়া। সার্বিক উন্নতিতে আমাদের কিছু বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমত, আমাদের শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী হতে শেখাতে হবে। আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনও ব্যক্তি নিজেকে বা তার কাজকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। দ্বিতীয়ত, জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের পরিবর্তন এত দ্রুত হচ্ছে যে, আমাদের যদি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে শিখতে না পারি, তাহলে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের মনোভাবেও পরিবর্তন আনতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং কোনও পরিস্থিতিতেই হাল না ছাড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা কঠিন সময়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে, তারা ভবিষ্যতে সফলতা পায়। আমাদের দক্ষতা এবং ইতিবাচক মনোভাব দিয়ে বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারে নিজেদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে।
অতএব, চাকরির বাজারে ভারতীয়দের উপস্থিতি নিয়ে অভিযোগ না করে, আমাদের নিজেদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে। আমরা যদি ভালো, দক্ষ, এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে পারি, তাহলে আমরা কেবল দেশের মধ্যেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ পেতে পারি। আমাদের নিজেদের গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারি এবং প্রমাণ করতে পারি যে, আমরা বিশ্বের সেরাদের মধ্যে অন্যতম। অন্যদের দোষারোপ না করে, নিজেদের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা যে কর্মক্ষেত্রের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না, এটি এক ধরনের সত্য। আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছে। তাই বিশ্বমানের কর্মী তৈরি করতে হলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকর্তারা এমন কর্মী চান, যারা নেতৃত্ব দিতে পারে, সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে। তারা কেবল পরীক্ষা-নির্ভর শিখন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করছে। বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে না। আমাদের এখন সময় হয়েছে নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখার এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার। নিজেদের পরিবর্তন না করলে, বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল চাকরির বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। শিক্ষাব্যবস্থায় শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান নয়, কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যেমন সৃজনশীলতা, সমাধান কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা, দলবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষমতা, এবং যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির উপরও গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের শুধু ভাল ফলাফলের পেছনে না ছুটে, আজকের পৃথিবীর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে মনোযোগী হতে হবে।
আমাদের মানসিকতা এমন হওয়া উচিত যে আমরা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বৈশ্বিক পর্যায়ে সেরা হতে চাই। এজন্য, শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তর এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে জীবনব্যাপী শেখার মানসিকতা গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারব। নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাস, দক্ষতা অর্জন, এবং শিখতে থাকাই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার মূল চাবিকাঠি। আমাদের বোঝা উচিত যে, শুধুমাত্র অন্যদের দোষারোপ করে আমরা কোনও সমাধানে পৌঁছাতে পারব না। ভারতীয় কর্মীরা বৈশ্বিক চাকরির বাজারে নিজেদের প্রমাণ করেছেন, কারণ তাদের মধ্যে ছিল জীবনব্যাপী শেখার মানসিকতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মানদণ্ড। আমাদেরও সেই একই পথে অগ্রসর হতে হবে। বিশ্বব্যাপী সুযোগগুলো আমাদের জন্য উন্মুক্ত, আর সেই সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য আমাদের নিজেদের উন্নয়নেই জোর দিতে হবে। অতএব, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রের চাহিদার মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী, নৈতিক এবং দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি, তাদেরকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত করতে হবে। যারা নিজেদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসে দুর্বল, তারা প্রায়ই অন্যদের ওপর অভিযোগ তোলার প্রবণতা দেখায়। প্রকৃতপক্ষে, শক্তিশালী ও আত্মপ্রত্যয়ী ব্যক্তিরা নিজেদের উন্নয়নে মনোযোগী হয়, অন্যদের দোষারোপ করে সময় নষ্ট করে না। তাই আমাদের নিজেদের দুর্বলতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শক্তিগুলোকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শুধু দেশের চাকরির বাজারে নয়, বৈশ্বিক পর্যায়েও নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে পারবে।