বাংলাদেশ: এক আদর্শ রাষ্ট্রের খোঁজে


আমরা কি সত্যিই একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের সংকটে ভুগছি? নাকি দীর্ঘদিনের ভুল সামাজিক ও রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্রভাবে আর নৈতিকতা-বর্জিত শিক্ষা-নীতির কারণে আমাদের জাতীয় সামাজিক মূল্যবোধগুলো ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে? যুগের পর যুগ ধরে যে দেশটি বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষার মানুষের সহাবস্থানের মেলবন্ধন হিসেবে পরিচিত,যে মাটির সোঁদা গন্ধে প্রাণ চাঞ্চল্য হয় প্রতিটি মানুষের মন, যার আকাশে-বাতাসে মিশে আছে আমাদের নিঃশ্বাস সেই প্রিয় স্বদেশ বর্তমানে ধর্মীয় সহিংসতা ও বৈষম্যের এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় যেখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করত, আজ সেখানে ধর্মের নামে সহিংসতা, নিপীড়ন এবং বৈষম্যের ঘটনা উদ্বেগজনক-ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় ও সম্পত্তির ওপর আক্রমণ, এমনকি তাদের জীবনযাত্রা হুমকির মুখে পড়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের সাংবিধানিক মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলস্বরূপ গত সরকারের আকস্মিক পতনের পর দেশ এক গভীর সামাজিক অস্থিরতার মুখে পড়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, আর তাদের সাথে যোগ দিয়েছে অল্প সংখ্যক সাম্প্রদায়িক চিন্তার প্রবল প্রবক্তারা, যা জাতীয় ঐক্যের জন্য উদ্বেগজনক। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ শুধুমাত্র দেশের ভেতরে সামাজিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে না, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমাদের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করছে। তাই এখন সময় এসেছে নতুন করে ভাবার—একটি আদর্শ বাংলাদেশ কেমন হবে? যেখানে প্রত্যেক নাগরিক, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে, সমান অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারবে। জাতীয় ঐক্য, সহনশীলতা এবং সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করার মধ্যেই রয়েছে আমাদের সেই আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার মূল চাবিকাঠি।

আজ সারা দেশে যেন তথাকথিত পশ্চিমা আদলের স্বাধীনতার আলো ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সেই আলোর তীব্রতা অনেকের কাছে ধাঁধার মতো লাগছে। যেমন জীবনানন্দ দাশ বলেছিলেন, "সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি"—আমাদের স্বাধীনতাও অনেকের কাছে সেই অনুজ্ঞা-পত্রের মতো। যার ভাষা আমরা অনেকেই ঠিকমতো বুঝতে পারছি না। স্বাধীনতার সঠিক প্রয়োগ কি হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণার অভাব থাকায়, সমাজ যেন একধরনের "গুবলডিগুক" বা অর্থহীন বিশৃঙ্খলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মূল ভাবনাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে ভিড়ের চাপে ধীরে ধীরে। তবে অনেকেই আবার নতুন নতুন আশ্বাসের কথাও বলছেন। বিশেষ করে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই এক জন উপদেষ্টারা বলতে শুনেছি যে তারা বাংলাদেশকে এক আদর্শ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যে দেশের মানুষগুলো এখনো আদর্শবান হতে পারেনি। যাদের চিন্তা চেতনায়, ভাবনায়, মননে-চরিত্র চেহারায়, চলনে-বলনে পোশাক-আশাকে কিংবা চাহনিতে এখনো আদর্শ শিক্ষার মখমলে বাতাসের ছিটে-ফোঁটাও এসে লাগেনি, সে দেশটাকে কি করে আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করা যায় সেটা অন্তত: আমার ভাবনায় আসে না। আদর্শ রাষ্ট্র বলতে তারা আসলে কি বোঝাচ্ছেন?

প্রাচীন গ্রিসের দার্শনিক প্লেটো তার বিখ্যাত রচনা "গণতন্ত্র" এ আদর্শ রাষ্ট্র সম্পর্কে বলেছিলেন, "একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের জন্য আদর্শ নাগরিকের প্রয়োজন।" তাঁর মতে, রাষ্ট্রের শক্তি নাগরিকদের নৈতিকতা, শিক্ষা ও চরিত্রের উপর নির্ভর করে। যদি নাগরিকেরা নিজেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন না হন, তবে কোনও রাষ্ট্রই আদর্শ হতে পারে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও এটি প্রযোজ্য। একটি জাতির উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য, সেখানে প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যে আদর্শ, নৈতিকতা এবং সচেতনতা থাকা অপরিহার্য। যদি নাগরিকেরা নিজেদের দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে রাষ্ট্র কখনোই একটি আদর্শ রাষ্ট্র হতে পারে না। রাষ্ট্র এবং নাগরিকের সম্পর্ক এমন একটি মজবুত শৃঙ্খলা, যেখানে আদর্শ নাগরিকরা রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যায়, আর রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। তাই, আদর্শ নাগরিকদের অভাব থাকলে, একটি রাষ্ট্রের আদর্শ হওয়া অসম্ভব। শিক্ষক বলেই হয়তো এমনটি মনে হয়। তবে তাই সঠিক। আর তা হলে শিক্ষা একটি জাতির উন্নতির মূল ভিত্তি, যা আদর্শ নাগরিক গঠনে অপরিহার্য। প্রাচীন গ্রিসের দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, "শিক্ষা একটি রাষ্ট্রের আত্মা।" তার মতে, শিক্ষিত নাগরিকরা নৈতিকতা, ন্যায়বিচার এবং সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা থমাস জেফারসনও বিশ্বাস করতেন, "একটি শিক্ষিত নাগরিক সমাজই সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে বজায় রাখতে পারে।" তাই বাংলাদেশকে যদি সত্যিই সত্যিই আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান তাহলে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আদর্শ শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করুন সর্বাগ্রে। আগে দেশবাসীকে আদর্শ হওয়ার সুযোগ দিন তাহলে বাকী কাজটা খুব সহজেই হয়ে যাবে।

প্লেটোর “রিপাবলিক”বইটিতে আদর্শ রাষ্ট্রের একটি নমুনা দিয়েছিলেন। যদিও ধারনাটি একেবারেই কাল্পনিক। তবুও চেষ্টা করলে হয়তো একটি ভদ্র স্বাভাবিক এবং সভ্য জাতীতে পরিণত হওয়া সম্ভব। তবে অন্তত: আমার জানামতে প্লেটোর ধারণা অনুযায়ী, বাস্তবে এমন কোনও আদর্শ জাতি নেই। তবে বলতে দ্বিধা নেই কিছু কিছু দেশ ন্যায়বিচার ও নৈতিকতার ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়ার চেষ্টা করে। তার নজির অবশ্যই আছে এবং আপনারাও তা অনেকেই জানেন। তবুও মানব সমাজে বিভাজন, স্বার্থপরতা এবং অসমতা সবসময়ই থেকে যায় এবং ভবিষ্যতেও তা থাকবে। প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা অনুযায়ী, একটি সুশৃঙ্খল ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক নাগরিক তাদের যোগ্যতা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করবেন, সেটাই আদর্শ রাষ্ট্র। সেখানে আইনের শাসন থাকবে, এবং সবাই সমানভাবে ন্যায়বিচার পাবেন। একইভাবে, প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে কৌটিল্যের "অর্থশাস্ত্র" এবং কনফুসিয়াসের চিন্তাধারায়ও আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা উঠে আসে।আদর্শ রাষ্ট্রে শাসকের প্রধান দায়িত্ব হবে মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে সমতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। আপনারাই এখন বলুন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে কোন সরকার কি মানুষের কল্যাণে সত্যিকার অর্থে কিছু করেছেন? বরং অনেকের মতে দিন দিন আমরা যেন উল্টো দিকে এগুচ্ছি। জাতী হিসেবে মানবিক মূল্যবোধে নেমে এসেছে এক ভয়ানক ঝড়। তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা না নিলে আমরা হয়তো এদিন জাতী হিসেবে ঝড়ের তাণ্ডবে তলিয়ে যাবো তাতে কোন সন্দেহ নেই। তা হলে আমাদের করনীয়? যদি সত্যি সত্যিই বাংলাদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হয় তাহলে আমাদের প্রথমে ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে হবে। শুধুমাত্র আইন বা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে নয়, বরং মানুষের মনের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। ধর্ম, সংস্কৃতি, ইতিহাস—এই সবকিছুর ওপর ভিত্তি করে আমাদের এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে একে অপরকে শ্রদ্ধা করতে জানবে এবং সবাই একত্রে বসবাস করতে করবে। তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা।  শিক্ষাকে সময়োপযোগী, ব্যবহারিক ও মানবিক মূল্যবোধের আদলে বিনির্মাণ করা। তাকে আইনের মাধ্যমে সুস্থভাবে সমাজের সর্বত্র প্রয়োগ করা। মনে রাখতে হবে প্রতিটি ধর্মের নিজস্ব মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্য রয়েছে। এসব মূল্যবোধের প্রতি সম্মান জানিয়েই আমরা একসঙ্গে চলতে পারি। আমাদের এই বাংলাদেশের মাটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বা গোষ্ঠীর নয়, এটি আমাদের সবার। সুতরাং, প্রত্যেকেরই এখানে সমান অধিকার থাকা উচিত।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি দেখা গেছে। বিশেষ করে সরকার পরিবর্তনের সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ক্ষমতার লড়াইয়ের কারণে সন্ত্রাস ও সহিংসতা বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনও এই ধরনের সহিংসতার সামনে অসহায় হয়ে পড়ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, নারী নির্যাতন, এবং রাজনৈতিক সংঘর্ষ—সব মিলিয়ে দেশের পরিস্থিতি ক্রমেই অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও, বাস্তবে তারা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হচ্ছেন। সরকার বিভিন্নভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও নিপীড়ন বন্ধ করতে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছে না। জনগণের নিরাপত্তা ও তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু প্রশাসনিক উদাসীনতা ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো, সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন বা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নয়, প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ধর্মীয় উগ্রবাদী এবং রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পাশাপাশি, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে সমাজে শান্তি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠায়।

একটি আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা বাস্তবায়ন করতে হলে, আমাদের নিজেদের মধ্যে ধর্মীয় ও সামাজিক ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। দেশের সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের কাজ ও ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিতে হবে। শুধু তাত্ত্বিকভাবে নয়, বাস্তবিক-ভাবেও আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, সহনশীল এবং শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। সবার সমান অধিকার ও দায়িত্বই আদর্শ রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি, এবং সেই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ একদিন সেই আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত হবে, যেখানে সবাই নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারবে, নিজেদের কাজ করতে পারবে। সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারবে। বাংলাদেশ একটি বহু ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ভাষার মিলনভূমি, যেখানে সব ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। আমাদের এই ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবিক মূল্যবোধ নিশ্চিত করা জরুরি। হিংসা ও বিভেদ পরিহার করে, সকল ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং একে অপরের বিশ্বাস ও অধিকারকে মর্যাদা দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। অতএব, সমাজে নৈতিক ও গুণগত শিক্ষার প্রসারে একটি শক্তিশালী শিক্ষা নীতি প্রনয়নের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, যেন আমরা পরস্পরের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান শিখতে পারি। শুধুমাত্র সঠিক শিক্ষাই জাতিকে ভ্রাতৃত্ববোধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পারে এবং বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে পারে। শিক্ষাই হোক আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রেরণা।

Leave your review