নতুন প্রজন্ম এবং নৈতিক শিক্ষা


প্লেটোর এই প্রবাদ বাক্যটি "মানুষ যেমন হবে রাষ্ট্রও তেমনই হবে" আমাদের সমাজে এখনও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বেশ কয়েকদিন যাবৎ এই কথাটিই নিজের মনকে আচ্ছন্ন করে রাখছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজকের প্রজন্ম সহ আপামর জনসাধারনের মধ্যে নৈতিকতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং মূল্যবোধের যথেষ্ট অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্লেটোর সময়ে সমাজের চালচিত্র ছিল সম্পূর্ন ভিন্ন। মিশর ও বিশ্বের সামাজিক শৃঙ্খলা এবং পরিবেশ ছিল জটিল ও বৈচিত্র্যময়। মিশরীয় সভ্যতা তখন তার প্রাচীন গৌরবে বিরাজমান ছিল, যেখানে ফারাওদের নেতৃত্বে ধর্ম, বিজ্ঞান, ও শিল্পকলার সমৃদ্ধি ঘটে। সামাজিক স্তরবিন্যাস ছিল সুস্পষ্ট। প্লেটোর দর্শনের প্রভাব পশ্চিমা দুনিয়ায় ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছিল, যা গ্রিক সভ্যতার চিন্তা-ভাবনা ও সামাজিক গঠনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, এটি ছিল সামাজিক ও বৌদ্ধিক পুনর্জাগরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু আজ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট একেবারে পাল্টে গেছে।  ২১শ শতাব্দীকে বিশ্বায়ন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অস্থিতিশীলতা, অনিশ্চয়তা, অস্পষ্টতা এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতির যুগ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়, যেখানে নৈতিকতার অধঃপতন বেশীমাত্রায় লক্ষণীয়। এই সময়ে বিশ্বব্যাপী সংযোগ এবং তথ্যের প্রবাহ দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও, একদিকে প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মানবজীবন সহজতর হয়েছে, অন্যদিকে তা সামাজিক নৈতিক মানদণ্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। অনিশ্চয়তা অস্থিরতার মধ্যে মানুষের জীবনে নিরাপত্তাহীনতা এবং সংশয় বেড়েছে, যা তাদের নৈতিক মানসিকতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশ্বায়নের এই উন্মাদ পৃথিবীতে নৈতিকতার অবক্ষয় সমাজকে আরও বিপজ্জনক এবং অস্পষ্ট পথে পরিচালিত করছে তা দ্বিধাহীনভাবে বলা চলে।

যারা একটু সচেতন তাদের কেউ কী অস্বীকার করতে পারবেন, যে বর্তমান সমাজে আমরা এক গভীর সংকটের মধ্যে বসবাস করছি। শিক্ষা এবং তার ভূমিকা আজকে আর শুধু তথ্য আহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এই শিক্ষার সাথে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের সংযোগ অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। এই বিষয়টি বিশেষভাবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর আলোকে বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, মানুষ আজকে আরও বেশি সংখ্যায় শিক্ষিত হলেও, তাদের আচার-ব্যবহার এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের ক্ষেত্রে মারাত্মক অবনতি ঘটছে। বাংলাদেশের মানুষ এমন অরাজকতা, সংঘাত ও সহিংসতা এর আগে কখনো প্রত্যক্ষ্য করেনি। এই অবনতির প্রধান কারণ হিসেবে আমরা শিক্ষার মধ্যে নৈতিকতার অভাবকে চিহ্নিত করতে পারি। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য শুধু মেধাবিকাশ নয়, বরং মানবিকতার বিকাশও। একটি সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে তোলার জন্য যে ধরনের শিক্ষার প্রয়োজন, তা শুধুমাত্র তথ্য বা তত্ত্ব নয়, বরং তা হলো মনের বিকাশ, নৈতিকতার বিকাশ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই নৈতিকতার অভাব ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। এই অভাবের ফলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম কেবলমাত্র নিজেদের পেশাগত জীবনে কিছুটা উন্নতি করতে শিখছে বটে, কিন্তু সামাজিক দায়বদ্ধতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে বেমালুম ভুলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং সামাজিক অস্থিরতা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কেবলমাত্র তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ তৈরি করছে, কিন্তু মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে পারছে না। নৈতিকতা, সম্মান এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছাড়া কোনো সমাজই স্থিতিশীল এবং শান্তিপূর্ণ হতে পারে না। কয়েক যুগ আগেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন "শিক্ষিত ব্যক্তি কখনো সহিংস হতে পারে না, জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করতে পারে না এবং অন্যের ক্ষতি করতে পারে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া শিক্ষার পরিপন্থী। সত্যিকারের শিক্ষা মানুষকে বিবেকবান করে তোলে, যা তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।" ইসলাম ধর্মেও পরিস্কার ভাষায় হত্যাকারীদের অপরাধ সম্পর্কে উল্লেখ আছে।“যে কেউ একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করে, সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করল। আর যে কেউ একটি প্রাণ বাঁচায়, সে যেন পুরো মানবজাতিকে বাঁচিয়ে দিল।" -সুরা আল-মায়িদা (৫:৩২). সহিংসতা, ধ্বংস, এবং অন্যের ক্ষতি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি যদি আমরা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখা যাবে যে, মানুষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের অভাব, হিংসা এবং অহংকার বৃদ্ধি পেয়েছে। যে সমাজে একে অপরের প্রতি সম্মান নেই, সেখানে শান্তি বা স্থিতিশীলতার আশা করা যায় না। যে সমাজে সামাজিক ঐক্যতা ভেঙ্গে পড়ে এবং মানুষ ক্রমাগত নিজের স্বার্থের পিছনে ছুটতে থাকে, সে সমাজে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সম্পর্কগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সমাজের মূল কাঠামো ভেঙ্গে যায়। সমাজে নৈতিক শিক্ষা এবং মূল্যবোধের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমরা প্রাচীন গ্রিক দর্শন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পাই। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস বলেছিলেন, "একজন জ্ঞানী ব্যক্তি জানেন যে, তিনি কিছুই জানেন না।" প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তি সবসময়ই বিনম্র থাকেন এবং অহংকার থেকে দূরে থাকেন। এই বিনম্রতা এবং নম্রতা একজন মানুষকে অন্যের প্রতি সম্মান দেখাতে শেখায়, যা সমাজে শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অপরিহার্য। অপর এক গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, "আইন এবং শৃঙ্খলা হচ্ছে ভালো মানুষের শিক্ষকের মতো, কিন্তু খারাপ মানুষের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা।" যারা প্রকৃত শিক্ষা লাভ করেছেন এবং নৈতিকতায় দীক্ষিত, তারা আইন মেনে চলেন এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তার লেখনীতে নম্রতা এবং শৃঙ্খলার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে।" এই উক্তি কেবল ব্যক্তিগত সাহস এবং দৃঢ়তার পরিচায়ক নয়, বরং এটি সমাজের দায়বদ্ধতার প্রতি মানুষের একাগ্রতারও উদাহরণ।

এখন সময় এসেছে এমন এক সমাজ গড়ে তোলার যেখানে শিক্ষার সাথে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের সমন্বয় থাকবে। এই সমন্বয়কে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। প্রথমত, শিক্ষার প্রতিটি স্তরে নৈতিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত জরুরি। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম থেকেই মানবিক মূল্যবোধ, দায়িত্বশীলতা, এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তুলতে হবে। এই মূল্যবোধগুলো যদি শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চারিত করা যায়, তাহলে তারা ভবিষ্যতে একজন সুশীল, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে। ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা একজন সচেতন ও সুশীল নাগরিকের অন্যতম গুণ। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তাদের জাতীয় ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখাতে হবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতের পথচলা একজন ব্যক্তির মানসিক এবং নৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধুমাত্র অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিলেই আমরা সেগুলো পুনরাবৃত্তি এড়াতে পারি এবং একটি উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে পারি। সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা শেখানোও শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং পারস্পরিক সম্মানের গুরুত্ব বুঝতে পারে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সমাজের কল্যাণে কাজ করা সুশীল নাগরিকদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যদি আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের এই মূল্যবোধগুলো শেখাতে পারি, তাহলে আমাদের সমাজে শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় থাকবে। মূল্যবোধের গুরুত্ব শিক্ষার মাধ্যমে প্রচলিত করা অত্যন্ত জরুরি। একজন সত্যিকার শিক্ষিত ব্যক্তি কেবলমাত্র তার জ্ঞানের গভীরতা এবং পেশাগত দক্ষতার জন্যই নয়, বরং তার মানবিক গুণাবলী, মূল্যবোধ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্যও সম্মানিত হন।

মানবিক শিক্ষা এবং নৈতিকতার আলোকে আমরা যদি সমাজ গড়ে তুলতে পারি, তবে আমাদের দেশ এবং সমাজ একটি উন্নত, সুশৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রূপান্তরিত হবে। আমাদের উচিত, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে এই মূল্যবোধগুলোকে স্থাপন করা, যাতে তারা একজন সুশীল, দায়িত্বশীল, এবং সম্মানীয় নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে ।একটি স্বৈরাচারী বা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার পতনের পর জনগণের প্রথম দায়িত্ব হওয়া উচিত দেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করা, আইন হাতে না তুলে নেওয়া, এবং সহিংসতার পথ এড়িয়ে চলা। যখন একটি স্বৈরাচারী সরকার পতিত হয়, তখন মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ এবং হতাশায় ভুগতে পারে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কিন্তু এই ক্ষোভ যদি সহিংসতার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তবে তা সমাজকে আরও বেশি বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলোর উদাহরণ আমাদের শেখায়, কীভাবে জনগণ শৃঙ্খলা বজায় রেখে এবং আইন মেনে দেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করতে পারে। যেমন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপান উভয় দেশই এক বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু সেসব দেশের জনগণ নিজেদের হিংসা থেকে বিরত রেখে শৃঙ্খলা ও ঐক্যের মাধ্যমে তাদের দেশ পুনর্গঠন করেছে। তারা কেবলমাত্র জাতীয় ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রেখে সমাজকে পুনর্গঠন করেছে। প্রকৃত গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন মানুষ তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করে, সহিংসতার পথ থেকে দূরে থাকে, এবং জাতীয় ঐক্যের উপর ভিত্তি করে সমাজকে গড়ে তোলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উক্তি এখানে খুবই প্রাসঙ্গিক: "শান্তির জন্য পথ হচ্ছে ন্যায়ের পথ, অন্যায় এবং অবিচার শান্তির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।"

আমাদের তরুন শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ জনগণ জাতীয় গর্বের অন্যতম প্রধান উৎস। আজকের এই সংকটময় সময়ে আমাদের সবার উচিত দেশ পুনর্গঠনে একযোগে কাজ করা, সকল প্রকার দুর্নীতি, বৈষম্য এবং ধর্মীয় নিপীড়ন দূর করা। আমাদের ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী বা অন্য কোনো পরিচয় দিয়ে বিভক্ত না হয়ে একটি জাতি হিসেবে একসঙ্গে বসবাস করতে হবে। বাংলাদেশের রয়েছে একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধের ইতিহাস। আমাদের রক্তে প্রোথিত বিজয়ের উচ্ছ্বাস আর শক্তির প্রাঞ্জলতা। তাই বাঙালী এবং বাংলাদেশের ভূখন্ডের মানুষেরা সবসময় মেরুদন্ড সোজা করে হাঁটতে পেরেছিল। আমাদের পিতা-প্রপিতামহের উদ্ধত শিরকে সমুন্নত রাখাই হবে আমাদের কর্তব্য। আর যে কোন ন্যায়, অত্যাচার, দূর্নীতি, ধর্মান্ধতা, আমলাতন্ত্র ও সংহিংসতা সহ সকল দূরাচরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই হবে আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা। বাংলাদেশের জনগনই বাংলাদেশের মূল শক্তির উৎস।  আমরা দেশ একটি, আমাদের ভাগ্যও এক। আর এই ভাগ্যকে আমরা নিজেরা গড়ে তুলতে পারি একতাবদ্ধ থেকে। এই একতাবদ্ধতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টাই আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখবে এবং আমাদের দেশকে আরও উন্নত, শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। চলুন, আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য কাজ করি।

Leave your review