বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির পথে। চারিদিকে আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তা খালি চোখে যেমন দৃশ্যমান, তেমনি মানুষের দৈনন্দিন চাল-চলনে, আচার-ব্যাবহারে, কথা-বার্তায়, পোশাক-আশাকে, চলা-ফেরায়, খাওয়া-দাওয়া এবং বিলাসিতায় পরিলক্ষিত হচ্ছে। জোয়ারের বাতাস লেগেছে সব জায়গায়। শহর-বন্দর, গ্রামে-গঞ্জে, পথে-প্রান্তরে, দালান-কোঠায় কিংবা টিনের বা মাটির ঘরে। বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত সারা দেশ। গ্যাসের বদৌলতে চলছে রান্নায় রমরমা। চারিদিকে হাইওয়ে এক্সপ্রেস, মেট্রো রেলওয়ে, কালসী, কুরিল, বিজয় সরণী-তেজগাঁও, মহাখালী সহ অসংখ্য ফ্লাইওভার বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল শহর ঢাকার যানজট সমস্যা প্রশমিত করতে সরকার গত ২০ বছরে নির্মাণ করেছে। দেশী এবং বিদেশী অর্থায়নে নানা উন্নয়নে হাত দিয়েছে। অবশ্যই বেশ সাহসী, রূপান্তরমূলক এবং তুখোড় দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতিফলন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত। তার প্রভাব সর্বত্র। নিয়ে এসেছে জনজীবনে এক দণ্ড প্রশান্তি আর স্বস্তি। বিজয় সরণী ফ্লাইওভার দিয়ে সাঁ সাঁ করে গাড়ীগুলো উত্তরায় চলে যায় মাত্র ত্রিশ মিনিটে। মানুষের ভোগান্তি কমেছে, জীবনে নেমে এসেছে প্রাঞ্জলতা। যা ভালো তাকে খারাপ বলি কি করে? পরলোকগত আমেরিকার যুদ্ধবাজ ধুরন্ধর হেনরি কিসিঞ্জরের তলা-বিহীন পাত্রের দেশ আজ বিশ্বের অনেক দেশের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদাহরণ। অর্থনৈতিক ভাবে আমরা আজ অনেক এগিয়ে। সেজন্য বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ দেওয়া আমাদের কিছুটা হলেও সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব। কাউকে প্রশংসা করায় কোন লজ্জা নেই। বরং এতে সকলেরই মঙ্গল। আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়েই কিছুটা আলোকপাত করবো। তবে বিষয়বস্তু সুপারস্টোর খুচরা বিক্রির খাতকে নিয়ে।
বিগত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের খুচরা শিল্পের নজিরবিহীন প্রসার এবং বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এর অভাবনীয় প্রভাব মূলত: রূপকথার গল্পের মতোই মনে হয়। সুসংগঠিত সুপারস্টোর খুচরা বিক্রয়ের ব্যাপারটি বাংলাদেশী ভোক্তাদের জন্য একেবারেই নতুন ধরনের এক অভিজ্ঞতা। উচ্চ মানের পরিষেবা সহ, বিশ্বমানের স্টোর নকশা এবং উল্লেখযোগ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি উন্নতমানের সুবিধাজনক কেনাকাটার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এই সুপারস্টোর রিটেলিং খাত ইতিমধ্যে সেরা ভোক্তা পরিষেবায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। গত এক দশকে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে একটি, গড়ে প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের জিডিপি ৪৬০ বিলিয়ন ডলার ছিল ২০২২ সালে এবং মানুষের মাথাপিছু আয় দেশজ পণ্যের হিসাব অনুপাতে ২৭২৯ ডলার। একই বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল সাত দশমিক এক শতাংশ যা উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে কল্পনাতীত। বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ আজ একটি চমকপ্রদ স্থান দখল করে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয়, বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং ক্রয় ক্ষমতায় ২৫তম বৃহত্তম দেশ। ২০২২ সালে মাত্র চার দশমিক সাত শতাংশ বেকারত্বের হার এই দেশটিকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় বাজারের জন্য খুব আশাব্যঞ্জক করে তুলেছে। যদিও ব্যবসা করার সহজতা সূচক অনুসারে আমরা ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬২তম স্থানে আছি। তবে হতাশ হওয়ার কোন কারন নেই। প্রতি বছরই এই সূচকটিরও ঊর্ধ্বগতি দেখতে পাচ্ছি। তবে এটাও ঠিক এফডিআই (প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ) আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে এটিকে অতিক্রম করা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কিন্তু বর্তমান সরকারের পর্যাপ্ত মনোযোগের কারনে সময়ের সাথে সাথে এই চ্যালেঞ্জ থেকে আমরা বেড়িয়ে আসবো তাতে সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ তার অভ্যন্তরীণ বাজার সহ বৈশ্বিক বাজারেও একটি প্রতিশ্রুত-বদ্ধ দেশ হিসাবে বিশাল ভূমিকা রাখছে এবং নতুন নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করছে। গত বিশ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ সুপারস্টোর খুচরা বিক্রয় খাতে একটি অভাবনীয় বিপ্লব দেখতে পাচ্ছে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল খুচরা বাজারের ইতিবাচক ভোক্তা সুবিধা সহ নানা ধরনের প্রাচ্যাত্যের মতো সুবিধাজনক কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করছে। এই খুচরা খাতের শিল্পটি নিজেই বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিকশিত হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হচ্ছে একটি সমৃদ্ধশালী লাভজনক খাতে। সঠিক মনোযোগ এবং সরকারি নজর পেলে পরবর্তী দশকে এটি একটি অন্যতম অর্থনৈতিক উন্নয়নের খাতে রূপান্তরিত হবে নিঃসন্দেহে। ধীরে ধীরে এই খাতটি তৈরি পোশাকের মতো বাংলাদেশের পরবর্তী সর্বাধিক বিকাশমান খাত হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। আধুনিক 'সুপারস্টোর' হল বাংলাদেশের শিল্পায়নের পরবর্তী উন্নয়নশীল শিল্প। যদিও জনগণের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি নির্ভর কিন্তু বিশ্বায়ন ও আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের কারনে সুপারস্টারগুলিও কর্মসংস্থানের একটি নতুন উৎস হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখবে, এবং শ্রমিক-শ্রেণি, ব্যবসায়ী মালিক সহ, রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই এটিকে সবচেয়ে প্রাণবন্ত এবং সমৃদ্ধ সেক্টরে পরিণত করার জন্য সমন্বিত কৌশল প্রয়োজন। যদি উপযুক্ত সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করা যায় তা হলে এ খাতটিও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে তাতে সন্দেহ নাই।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খুচরা বিক্রির পরিবেশ এমন ভাবে গড়ে উঠেছে যেখানে খোলা বাজারগুলিতে মৌসুমি ফল এবং সবজি সহ মাছ-মাংস কেনাকাটার সময় দাম নিয়ে দরাদরি করা যায় কিংবা যাচাই করার পাশাপাশি যে কোনও বাজেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ খাদ্যসামগ্রী কেনার যথেষ্ট সুযোগ থাকে। তবে খোলা বাজার কেন্দ্রিক কেনাকাটার পরিবেশটা সব সময় তেমন সুখকর নয়। একদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর অন্যদিকে দাম নিয়ে দরকষাকষিতে অনেককে নানা রকম অস্বস্তিকর অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। বিশ্বায়নের অভাবনীয় প্রসার, সম্প্রসারিত মধ্যবিত্ত পরিবারের আয় বৃদ্ধি সহ আন্তর্জাতিক মানের ভোক্তা সুবিধার চাহিদা বৃদ্ধির কারনে সাম্প্রতিক দশকগুলিতে ঐতিহ্যবাহী খুচরা বিক্রয় খাত সংগঠিত সুপারস্টোর খুচরা খাতের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে দ্রুত গতিতে। এমন কি ইদানীং এই নতুন ধরনের কেনাকাটার ধারনা প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জেও দৃশ্যমান হচ্ছে। যদিও বেশিরভাগ বাংলাদেশী জনগণ কখনই বিদেশে যায়নি তবে সোশ্যাল মিডিয়া আর অভাবনীয় প্রযুক্তির বিকাশের কারনে তারা বিদেশী গুনগত মানের পণ্য এবং অফারগুলির সাথে ক্রমবর্ধমান ভাবে পরিচিতি লাভ করছে এবং বিদেশী পণ্যের উপর ঝুঁকে পড়ছে। আজ দেশের প্রধান শহরগুলিতে সংগঠিত সুপারস্টারগুলি প্রায় অভূতপূর্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে। সৃষ্টি করছে চাহিদা এবং পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি করছে। পণ্যের লাইন এবং মূল্য নির্বিশেষে বিভিন্ন আকারের সংগঠিত সুপারস্টারের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে যেমন ছোট ছোট কনভেনিয়েন্স স্টোর, ডিসকাউন্ট স্টোর, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এবং সুপারস্টোর। যদিও মেগাস্টোরের ধারনাটা পশ্চিমে খুব প্রচলিত, একদিন বাংলাদেশেও এই জাতীয় মেগাস্টোরের প্রচলন হবে তাতে সন্দেহ নেই। অতীতের খুচরা কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ধীরে ধীরে রুচি এবং প্রত্যাশার পরিবর্তনের ফলে কেনাকাটার জগতে আসছে এক নতুন ধরনের অভিজ্ঞতার ধরন যেখানে ক্রেতা বা দর্শনার্থীরা পরিষ্কার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, নিরাপদ পরিবেশ উপভোগ করা সহ নানা জাতীয় দেশী বিদেশী পণ্য থেকে নিজের পছন্দমতো জিনিসটি পেশাদার পরিবেশে কিনে নিতে পারেন। বর্তমানে অনেক মধ্যবিত্তরা এই সুপারস্টারগুলিতে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। দৈনন্দিন কেনাকাটার জন্য উপচে পড়া, খোলা বাজারে যাওয়ার চেয়ে শপিং শৈলীর সাথে কেনাকাটায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
যদিও বাংলাদেশের সুপারস্টোর খুচরা বিক্রির খাত তার দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় এখনো অনেকাংশে অনুন্নত, বিশেষভাবে কাঠামোগত ভাবে দুর্বল এবং অসংগঠিত। যেমন ভারতে খুচরা ব্যবসা তার অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ এবং বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল খুচরা বাজারগুলির মধ্যে একটি। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশে সুপারস্টারের ধারণাটি একেবারেই নতুন এবং ২০০০ সালের প্রথম দিক থেকে এই খাতটি দৃশ্যমান হতে শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য সূত্র মতে, ২০২০ সালে সংগঠিত খুচরা খাত ছিল মোট খুচরা খাতের (১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। )মাত্র এক দশমিক ছয় শতাংশ। দুইশটিরও বেশী আউট লেট সহ প্রায় ত্রিশটি কোম্পানি প্রধানত রাজধানীতে কাজ করছে। নগরায়নের বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং আয়ের স্তর বৃদ্ধির সাথে সাথে বর্ধিত শিক্ষিত তরুণ জনসংখ্যা ভোক্তা কেনাকাটার আচরণের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। একটি জাতি যেখানে দুই কোটিরও বেশি জনসংখ্যা শুধুমাত্র রাজধানী শহরে বাস করে যা ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং নরওয়ের সম্মিলিত জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। অতএব, এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা যথেষ্ট। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং তার বাইরেও সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল একটি অর্থনীতি।
২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং বরিশালের মতো প্রধান শহরগুলিতে এই ধরনের পরিষেবা প্রদানকারী স্টোরের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। এই দ্রুত সম্প্রসারণের মূল কারন শহুরে এবং গ্রামীণ উভয় গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে উচ্চ-মানের পণ্য সরবরাহ এবং পরিষেবা প্রদান করার সক্ষমতা। এর পাশাপাশি, অনেক বিদেশী কোম্পানিও বাংলাদেশে তাদের নিজস্ব সুপারমার্কেট স্থাপনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে যা এই খাতের প্রবৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির পেছনে একটি প্রধান কারণ হল বাংলাদেশি ভোক্তারা ভোক্তা হিসেবে তাদের অধিকার সম্পর্কে ক্রমশ সচেতন হচ্ছে। টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটের বদৌলতে বিভিন্ন সেক্টরের খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকারগুলি আরও ভালভাবে বুঝতে শুরু করেছে। ফলস্বরূপ, গ্রাহকরা এখন খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে উচ্চ মানের পণ্যের দাবি করছে। তবে এটিও উল্লেখ করা উচিত যে সুপারমার্কেটের মতো নির্দিষ্ট খাতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগগুলিও সারা বাংলাদেশে ক্রেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। উদাহরণ স্বরূপ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য সরকার কর্তৃক প্রচুর ট্যাক্স বিরতি দেওয়া হয় এবং সেই সাথে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্যও প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে না, সাথে সাথে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করছে।
যদিও এই খাতে রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা কিন্তু পাশাপাশি অনেক চ্যালেঞ্জও আছে। এগুলি অবশ্যই সঠিকভাবে সমাধান করা উচিত যার জন্য সমন্বিত কৌশল প্রয়োজন। এই চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে কয়েকটি হল: সীমিত বাজার বুদ্ধিমত্তা, দুর্বল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ব্যবস্থাপনা সহ দক্ষ শ্রমশক্তির ঘাটতি, জায়গার অভাব, অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ, ব্যাংক ঋণের সমস্যা এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার অভাব। সুপারমার্কেটগুলি শুধুমাত্র একটি বৃহত্তর, উন্নত অর্থনীতিই তৈরি করবে না, প্রতিযোগিতামূলক গুণমান পরিষেবায় বিশেষ অবদান রাখবে। তাই, সময় এসেছে, খুচরা মালিক, সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অন্যান্য আগ্রহীদেরকে আরও সক্রিয় হয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি সমন্বিত কৌশল তৈরি করার মাধ্যমে এই খাতটিকে একটি লাভজনক বিকাশমান খাতে রূপান্তরিত করবে।