গনতন্ত্র সামাজিক অগ্রগতি, প্রগতি, নাগরিকদের মধ্যে সমতা বৃদ্ধি সহ সকল নাগরিকদেরকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে। গনতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমেই একটি দেশ বা জাতী মানবাধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহ চিন্তার অবাধ প্রবাহকে গতিশীল করে তুলে। স্বেচ্ছাচারী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দঁড়ানোর পরিবেশ সৃষ্টি করে। সরকার এবং শাসন ব্যাবস্থায় নিয়ে আসে জবাবদিহীতামূলক অবকাঠামো এবং সমাজে ঘটায় বুদ্ধিবৃত্তিক মানষিকতার উন্মেষ। গণতন্ত্র হল এমন এক ধরনের সরকার যেখানে সর্বোচ্চ ক্ষমতা জনগণের উপর ন্যস্ত করা হয় এবং প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের দ্বারা প্রয়োগ করা হয়। এটি এমন এক ধরনের সরকার যেখানে নাগরিকদের তাদের নিজস্ব শাসনে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। গণতন্ত্র শব্দটি দুটি গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে: ডেমো, যার অর্থ "জনগণ" এবং ক্রেটিন, যার অর্থ "শাসন করা"। একটি প্রকৃত গণতন্ত্র হতে হবে সমতা, অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে। সত্যিকারের গণতন্ত্র শুধুমাত্র এই তিনটি মৌলিক নীতিকে অন্তর্ভুক্ত করে না বরং নাগরিক স্বাধীনতা (যেমন বাক স্বাধীনতা), অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার (যেমন ন্যায্য মজুরি), সামাজিক ন্যায়বিচার (যেমন জনসেবা), পরিবেশ সুরক্ষা (যেমন পরিষ্কার বায়ু, এবং জল) এবং নিরাপত্তা (যেমন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা)এর মতো অন্যান্য অপরিহার্য উপাদানগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করে। ১৯শে নভেম্বর, ১৮৬৩ তারিখে, রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিঙ্কন পেনসিলভানিয়ার গেটিসবার্গে তার বিখ্যাত ভাষণে গনতন্ত্রের সঠিক সংজ্ঞাটি দিয়েছিলেন। তার ভাষণে, লিঙ্কন ঘোষণা করেছিলেন যে "জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য কোনদিন এই পৃথিবী থেকে ধ্বংস হবে না।" কি দার্শনিক বাক্যাংশ যা সত্যিকারের গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করে। লিংকন সত্যিকারের গণতন্ত্রে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে নিখুঁত স্বাধীনতা কতটা ভঙ্গুর হতে পারে যদি তা একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ভিত্তি দ্বারা সুরক্ষিত না হয়। ১৬০ বছরের বেশি সময় পরেও, লিংকনের দৃষ্টিভঙ্গি আজ জীবিত রয়েছে অনেক দেশেই। গণতন্ত্রে জাতি, লিঙ্গ, বা ধর্মীয় বিশ্বাস বিবেচনা না করেই সকল মানুষের অধিকার রক্ষা করে। গণতন্ত্রে প্রত্যেকের অধিকারকে সম্মান ও সুরক্ষিত করা হবে এটাই সঙ্গত। নির্যাতন, দাসত্ব বা জোরপূর্বক শ্রম থেকে মুক্তি এবং বাক, ধর্ম ও সমাবেশের স্বাধীনতা সবই মৌলিক মানবাধিকারের উদাহরণ হলো গনতান্ত্রিক চর্চা।
অধিকন্তু, গণতান্ত্রিক শাসন বর্ধিত সমৃদ্ধির সাথে জড়িত। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার মাত্রা এবং একটি দেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের মধ্যে নিবির সম্পর্ক রয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাজে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সর্বোচ্চ অন্ততঃ গনতন্ত্রের সংজ্ঞা মতে যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিক প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারে। গনতান্ত্রিক চর্চা সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় উন্নতীর পরিপূরক। তাই উন্নত বিশ্বে গনতান্ত্রিক পরিবেশে নাগরীকরা নানা ধরনের সুবিধা পাচ্ছে যেখানে অগনতান্ত্রিক দেশগুলিতে নাগরিক অধিকারকে জোড় করে দমন-পেষন করা হয়। পশ্চিমা নেতারা গত কয়েক দশক ধরে এই শব্দটিকে লক্ষ বার উচ্চারণ করেছেন। পশ্চিমা এবং উন্নয়নশীল বিশ্বের গনমাধ্যমগুলিতে এই শব্দটি বেশী মাত্রায় ব্যাবহার হয়েছে। হালচাল দেখে মনে হয় শব্দটি তাদের একচেটিয়া সম্পত্তি, কিংবা পশ্চিমা বা উন্নত বিশ্ব ছাড়া অন্য কোন জাতী বা দেশ এই শব্দটির পরিভাষা কিংবা সঠিক অর্থ বুঝে না। আর তাই কথায় কথায় অন্যান্য বা প্রাচ্যের দেশগুলোকে অযাচিতভাবে উপদেশ বা ভাষন দিয়ে বেড়ায়। কিন্তু আমার জিজ্ঞাসা হলো: কোন প্রকৃত গণতন্ত্র আছে কি পশ্চিমা বিশ্বে? আমারতো মনে হয় যারা অযাচিতভাবে অন্যকে গনতন্ত্রের খিস্তি-খেউরি করে বেড়ায়, শুধু মোটা মোটা ভাষনে তিরস্কার করে বেড়ায় ঐ জাতীগোষ্ঠীই সত্যিকারের গনতন্ত্রের মানে বুঝে না। যদি বুঝো তাহলে এই এক বিংশ শতাব্দীতে এসেও অষ্ট্রেলিয়ার মতো দেশে আদিবাসীদের কন্ঠস্বর ভোটের মাধ্যমে রোধ করা হতো না। একি সভ্যতায় বন্যতা নয়? গনতান্ত্রিক দেশে অগনতান্ত্রিক চর্চা!
দীর্ঘ প্রতিক্ষার আর গত ১৪ই অক্টোবর ২০২৩ অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী ভয়েস গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের অধিকার রক্ষার জন্য ছিলো একটি দীর্ঘ-পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। সভ্যতার উন্মেষ ঘটলেও সমাজে সকল স্তরের মানুষদের মধ্যে কোন সমাজই আজ পর্যন্ত সভ্যতার আলো পোঁছাতে পারেনি। তার জ্বলন্ত উদাহরন অষ্ট্রেলিয়ার এই আদিবাসী জনগোষ্ঠী। মানুষ হয়েও মানুষ হিসেবে যেন বেঁচে থাকার অধিকার নেই। আর তার প্রতিফলন হয়েছে এই গনভোটে। এই আদিবাসী আবুরজনিয়ানদের অধিকারকে দমিয়ে দেওয়া হয়, বাক-স্বাধীনতা এবং কন্ঠস্বরকে রুদ্ধ করে দেওয়া হয় এ গনভোটের মাধ্যমে। বিপুল ভোটের ব্যাবধানে আদিবাসীরা পরাজয় বরন করে। অষ্ট্রেলিয়ানরা চায় না আদিবাসীরা সমাজের একজন গনতান্ত্রিক নাগরিক হিসেবে সব নাগরিক সুবিধা ভোগ করুক। এই কেমন গনতান্ত্রিক দেশ! কিসের নাগরিক অধিকার আর বাক-স্বাধীনতা! একটি দেশের দুটি ধারা। এ কেমন নিয়ম, আইন আর রাষ্ট্রীয় প্রথা? অনেকেই এখন অস্ট্রেলিয়ার গণতন্ত্রের চর্চা নিয়ে সন্দেহ পোষন করছেন। গনতন্ত্রের লেবাস পড়ে থাকলে গনতান্ত্রিক হওয়া যায় না। এই রায় এটাই প্রমাণ যে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান ক্ষমতা কাঠামো দেশটির আদিবাসীদের নাগরিক অধিকারকে সম্পূর্নভাবে উপেক্ষা করে। নিজেদের দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে জাতির জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিনিধিত্বের অধিকারকে মেনে নিতে ও স্বীকৃতি দিতে এই ব্যার্থতা গনতন্ত্রের জন্য বিপদ্জনক। এই গণভোট প্রত্যাখ্যান একটি গণতান্ত্রিক জাতি হিসাবে অস্ট্রেলিয়া নিজেকে গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। উন্নত বিশ্বের নাগরিক হয়েও অষ্ট্রেলিয়ান আদিবাসীরা চরম মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছে। ২০১৭ সালে, রেফারেন্ডাম কাউন্সিল, আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন সত্তা, প্রথমে আদিবাসী ভয়েস রেফারেন্ডামের প্রস্তাব করেছিলো। প্রস্তাবে "ইন্ডিজেনাস ভয়েস" নামে একটি স্বাধীন সংস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে, যা আদিবাসীকে অধিকার সংরক্ষনে কাজ করবে। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ঘোষনা
দেন যে তার সরকার কোন গণভোটের সাথে এগোবে না। এর পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য অন্যান্য উদ্যোগে গ্রহন করবেন। এই ঘোষণাটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেক সদস্যকে ক্ষুব্ধ করেছিলো।
১৪ই অক্টোবরর প্রস্তাবিত গণভোটের লক্ষ্য ছিল একটি সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত, প্রতিনিধিত্বকারী কর্তৃপক্ষ যা সরকারকে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীদের বিষয়ে পরামর্শ দেবে এবং আদিবাসীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করবে। যদিও এই প্রস্তাবটি ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছিলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের কারনে "অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির" উদ্বেগের জন্য প্রত্যাখ্যান করা হয়। এই ফলাফলটি আদিবাসীদের জন্য নিয়ে আসে এক নতুন মাত্রা, এক নেতিবাচক প্রভাব। তৈরী করবে আদিবাসীদের সাথে অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ততার অনুপস্থিতি। আদিবাসী ভয়েস গণভোটের ব্যর্থতার কারনে আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা মৌলিক অধিকার এবং সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এক দেশে থেকেও দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হিসেবে একটি গনতান্ত্রিক দেশে অগনতান্ত্রিক বৈষম্য ব্যাবস্থার মধ্যে বেঁচে থাকবে। আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের বিরুদ্ধে ঔপনিবেশিকতা, ক্ষমতাচ্যুতি এবং জাতিগত বৈষম্যের ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটেছে এই গনভোটে। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসী এবং অন্যান্য অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে সম্পদ এবং কর্তৃত্বের একটি অসম বণ্টন রয়েছে। আদিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য অর্থপূর্ণ সংস্কার ছাড়াই তাদের চাহিদাগুলি যথাযথভাবে সমাধান করা হবে বা তাদের কণ্ঠস্বর শোনা যাবে এমন সম্ভাবনা আর থাকলো না।
গণতন্ত্র হল যেকোনো স্বাধীন ও ন্যায়পরায়ণ সমাজের ভিত্তি, তবুও আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অষ্ট্রেলিয়ান সরকারে আইনগত স্বীকৃতি এবং প্রতিনিধিত্বের অভাবের কারণে তাদের কণ্ঠস্বর দীর্ঘকাল ধরে রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে একটি জাতি প্রকৃতভাবেই গণতন্ত্রহীন। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়নি। এই সময়ের আগ পর্যন্ত আদিবাসীরা অন্যান্য অস্ট্রেলিয়ানদের মতো একই অধিকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলো এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তাদের কোনও প্রতিনিধিত্ব ছিল না। আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীরা ১৯৬৭ সালের পরেও স্থানীয় এবং ফেডারেল সরকারগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে কম প্রতিনিধিত্ব করে চলেছে ৷ সমাজের প্রতিটি স্তরে আদিবাসীদের অধিকারকে দমন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় যথাযথ অংশগ্রহণ ছাড়া, ভূমি অধিকার, শিক্ষার সুযোগ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা তাদের পক্ষে ক্রমবর্ধমান কঠিন হয়ে উঠেছে, যা ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, গনতান্ত্রিক সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারনে তারা অষ্ট্রেলিয়ান সমাজে সম্পূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে না, যার ফলস্বরূপ আজ অস্ট্রেলিয়ার অনেক আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চ স্তরের দারিদ্র্য রয়েছে। যখন কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে পর্যাপ্তভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া হয় না, তখন এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যেখানে সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বৈষম্যকে আরও প্ররোচিত করে। অথচ একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জাতি, লিঙ্গ পরিচয়, ইত্যাদি নির্বিশেষে আইনের অধীনে সবাইকে সমান সম্মান দেওয়া উচিত।
প্রকৃত গণতন্ত্র কখনোই বিদ্যমান থাকতে পারে না যদি আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা কাউন্সিল এবং সংসদের মাধ্যমে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে ন্যায্যভাবে অংশগ্রহণ থেকে বাদ পড়ে। যদি অস্ট্রেলিয়া জুড়ে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ন্যায়বিচার অর্জন করতে চায়, নিজকে প্রকৃত গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চায় সেক্ষেত্রে ঘন ঘন গনতন্ত্রের বুলি না ছেড়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে সত্যিকের নাগরিক সুবিধাগুলোর সাথে সংপৃক্ত করতে হবে। আদিবাসীদের সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। তবেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নির্বিশেষে সকলের পক্ষে একত্রে প্রকৃত গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা উপভোগ করা সম্ভব হবে। অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক আদিবাসী ভয়েস গণভোট প্রত্যাখ্যান আদিবাসীদের গণতন্ত্র অস্বীকারের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। এই সিদ্ধান্তটি প্রমাণ করে যে অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের কণ্ঠস্বরকে অগনতান্ত্রিকভাবে রুদ্ধ করা হচ্ছে এবং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আর এ অগনতান্ত্রিক মানষিকতা ভবিষ্যতে আদিবাসী এবং অ-আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। অস্ট্রেলিয়ান সমাজের জন্য আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীদের অধিকারের স্বীকৃতি নিশ্চিত করার জন্য একসাথে কাজ করা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সব অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য সত্যিকারের ন্যায়বিচার এবং সমতা অর্জন করার মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়া গর্বিতভাবে একটি প্রকৃত গণতন্ত্র বলে দাবি করতে পারে।