দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ববাদের ধারণাটি শিক্ষায় দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলিতে। তবে এই দর্শন তত্বের সাথে আমাদের পরিচিতী খুব কম বললেই চলে। তাই সমাজের নানা ক্ষেত্রে এর সঠিক ব্যাবহার খুব দেখা যায় না। দ্বান্দিক বস্তুবাদ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি কিন্তু দ্বান্দিক দ্বন্দবাদের ব্যাপারটি একটু বেসুরোই মনে হয়। কোন কিছু শেখা বা জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়াটি হলো একটি অগ্রগতি এবং পরিবর্তনের প্রক্রিয়া যেখানে নতুন ধারণাগুলি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিবেচনা, চ্যালেঞ্জ এবং গঠনমূলক বিতর্ক ও সমালোচনার মাধ্যমে বিকশিত হয়। দুটি সম্পূর্ন বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি একে অপরের পরিপূরক এবং অপরিহার্য হয়ে উঠে যখন দৃষ্টিভঙ্গিগুলো যে প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছিল তা সঠিকভাবে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে বিবেচনা করা হয়। সত্যিকারের শিক্ষা যদি মানুষ এবং সমাজকে মানবায়িত হতে সাহায্য করে তা হলে শিক্ষার উচিত এমন একটি পরিবেশ তৈরী করা যেখানে সকল দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মানের সাথে দেখা হবে কোন পক্ষপাতিত্ব বা কুসংস্কার ছাড়াই। বিরোধী মতের লোকদের মধ্যেও খোলামেলা আলোচনা করার সুস্থ পরিবেশ তৈরী করা জরুরী। শিক্ষায় দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্বের ব্যবহার সততা এবং গঠনমূলকভাবে হওয়া প্রয়োজন যা মানবিক বিকাশের পরিপূরক। মানব সভ্যতার বিকাশে পশ্চিমা সমাজে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের পরিক্ষা-নিরিক্ষা চলছে। শিক্ষাকে আরো ফলপ্রসু এবং সমাজ বান্ধব করার লক্ষ্যে নতুন নতুন ধারনার প্রয়োগ করা হচ্ছে যা শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ন । তার মধ্যে দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ববাদের (Dialectical contradiction) দার্শনিক তত্বটিই ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রাচাত্যের দেশগুলিতে। এই সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধটিতে এর তাৎপর্য এবং আধুনিক শিক্ষায় এর বর্তমান ভূমিকা নিয়ে কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করবো। শিক্ষায় এর সঠিক প্রয়োগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানার আগ্রহ বাড়াবে এবং সত্যিকারের জ্ঞানার্জনের পথকে সুগম করবে।
দ্বান্দ্বিক দর্শন হল দর্শনের একটি শাখা যা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে এবং প্রাচীন গ্রীক দর্শনে খুঁজে পাওয়া যায়। এই দর্শনটির মোদ্দা কথা হলো আমাদের চারিপাশে ঘটে চলা নানা ক্ষেত্রে যেমন সমাজ, সম্প্রদায়, রাষ্ট্র, রাজনীতি, অর্থনীতি কিংবা ব্যাক্তি পর্যায়ের নানা ধরনের দ্বন্দ্ব এবং উত্তেজনাগুলি কীভাবে একে অপরের সাথে যোগাযোগ বা ভারসাম্য রক্ষা করে তা বোঝার এবং ব্যাখ্যা করার একটি অভিনব প্রক্রিয়া। দ্বান্দ্বিক দার্শনিকরা বিশ্বাস করেন যে বিরোধী শক্তির মধ্যে উত্তেজনাকে উপলদ্ধি করার মাধ্যমে আমরা সমাজ এবং বিশ্বকে একটি সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্নভাবে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরীতে সফল হতে পারি। দ্বান্দ্বিকতার ধারণাটি সর্বপ্রথম প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক প্লেটো উপলদ্ধি এবং ব্যবহার করেছিলেন, যিনি বিশ্বাস করতেন যে কথোপকথন এবং বিতর্কের মাধ্যমে সমস্ত জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে সংলাপে জড়িত থাকার মাধ্যমে, আমরা একটি সাধারন লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি যেখানে উভয় পক্ষই লাভবান হতে পারে। পরবর্তীতে প্লেটোর ছাত্র অ্যারিস্টটলও অনুসন্ধানের একটি পদ্ধতি হিসাবে "দ্বান্দ্বিক" ধারণাটি বিকাশ করেছিলেন যেখানে প্রশ্ন, বিতর্ক এবং আলোচনার মাধ্যমে দুটি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে ধারণাগুলি পরীক্ষা এবং অন্বেষণ করা যেতে পারে। ইমানুয়েল কান্টও এই দর্শনটিকে মনে প্রানে গ্রহন করেছিলেন, যিনি এটিকে উভয় পক্ষের উপাদানগুলিকে বোঝাপরা এবং তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে একত্রিত করার একটি উত্তম উপায় হিসাবে দেখেছিলেন - যাকে তিনি "বিপরীতের ঐক্য" বলে অভিহিত করেছিলেন। দ্বান্দ্বিক দর্শনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো হেগেলের দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি, যা এই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত যে সত্যের উদ্ভব হয় যখন দুটি বিপরীত বিন্দুকে একত্রিত করা হয় এবং দু`য়ের সংঘর্ষের কারনে নতুন কিছু তৈরি হয়। হেগেল যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এই প্রক্রিয়াটি আমাদেরকে ইতিহাস বা মানব সম্পর্কের মতো জটিল ঘটনাগুলিকে আরও কার্যকরভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে যেখানে প্রথাগত পদ্ধতির প্রয়োগ ততটা সফল নয়। এই পদ্ধতি সমাজের নানা ক্ষেত্রে যেমন অর্থনীতি এবং রাজনীতির মতো জটিল বিষয়গুলোকে বুঝার জন্য প্রয়োগ করা হয।
তাছাড়া দ্বান্দ্বিকতা ন্যায়বিচার বা নৈতিকতার মতো নৈতিক বিষয়গুলি সম্পর্কে চিন্তা করার জন্য একটি প্রয়োজনীয় দর্শন তত্ব। আমরা সমস্ত দিক বিবেচনা না করে কেবল অন্ধভাবে পক্ষ নেওয়ার পরিবর্তে নৈতিকভাবে দ্বন্দ্ব সমাধানের দিকে কাজ করতে পারি যেখানে বিরোধপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। দ্বান্দ্বিকতা আমাদেরকে কোনো একটি সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির সঠিক বা ভুলকে চিহ্নিত না করে বরং বিভিন্ন দিকে অন্বেষণ করতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শিক্ষায় দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ববাদ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শিক্ষকরা, যেমন, ক্লাস আলোচনায় নতুন ধারণা বা বিষয়গুলিকে সংযুক্ত করতে প্রায়শই ছাত্র সংলাপ এবং তর্ক-বিতর্কের পদ্ধতিগুলোকে ব্যবহার করছেন এবং তার সুফলতাও দেখতে পারছেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিন্তাশক্তির উৎকর্ষতা এবং ইতিবাচক সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীরা একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য কীভাবে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণকে প্রাধান্য দিয়ে একসাথে কাজ করতে পারে বা একটি বিষয়ে উভয় পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে সে থেকে ইতিবাচক কিছু বুঝতে বা শিখতে পারে সে সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করে। শিক্ষার্থীরা নানা বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক করার সময় একে অপরের ভুল এবং সাফল্য থেকে শিখতে পারে। সামগ্রিকভাবে, দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্বের ধারণাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার পদ্ধতি হিসেবে প্রয়োগ করা যায় ,যা শিক্ষা প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সম্মানের উপর জোর দেওয়ার সময় সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার দক্ষতাকে উন্নীত করে।
ফ্রেডরিখ হেগেলকে ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী এবং তাৎপর্যপূর্ণ দার্শনিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তার প্রায় সব কাজই আধুনিক চিন্তাধারাকে যথেষ্টভাবে প্রভাবিত করেছে এবং এখনও বিশ্বব্যাপী পণ্ডিতদের দ্বারা তার চিন্তা এবং ধারনাগুলিকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা এবং গবেষনা করা হচ্ছে। দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব হেগেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলির মধ্যে একটি, যা তার দর্শনের ভিত্তি হিসাবে কাজ করেছে। হেগেল বিশ্বাস করতেন যে, সমাজে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনাই কোন বিচ্ছিন্ন সত্তা নয়, বরং একে অপরের সাথে দৃঢ়ভাবে সংপৃক্ত। প্রতিটি ঘটনাকে অবশ্যই তার "দ্বান্দ্বিক প্রেক্ষাপট" বা অন্যান্য জিনিস বা ধারণার সাথে সংযোগ বিবেচনা করতে হবে। একটি গাছের কথাই যদি বিবেচনা করি তা হলে আমরা কি দেখতে পাই। আমরা মাটি, চারপাশের বাতাস, এমনকি উপর থেকে যে সূর্যালোক গ্রহণ করে তার সাথে এর নিবিড় সম্পর্ক দেখতে পাই। এই সমস্ত উপাদানগুলি একটি গাছের সার্বিক গঠনে অবদান রাখে। হেগেল যুক্তি দিয়েছিলেন, "সত্য এই সমগ্র থেকে আলাদা কিছু নয়," এবং এই পারস্পরিক নির্ভরতাকে অনুধাবন করা বাস্তবতাকে বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বাস্তবতাকে একটি চির-বিকশিত প্রক্রিয়া হিসাবে দেখেছিলেন যেখানে বিবাদমান শক্তিগুলি নতুন কিছু তৈরি করার জন্য মিথস্ক্রিয়া করে। এই প্রক্রিয়াটিই 'দ্বান্দ্বিক' বা 'দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি'। দীর্ঘদিন ধরে, শিক্ষাবিদ এবং পণ্ডিতরা শিক্ষায় দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্বের প্রয়োগ করে আসছে নানা ভাবে। ইতিহাস জুড়ে, শিক্ষাব্যবস্থাগুলি শিক্ষার্থীদেরকে তাদের শেখার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে উত্সাহিত করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে দ্বন্দ্বের ব্যবহার। এই পদ্ধতিটি সমালোচনামূলক চিন্তার উন্মেষ ঘটায়। রাজনৈতিক বিজ্ঞান, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান বা দর্শনের মতো জটিল বিষয় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ববাদ শ্রেণীকক্ষে সৃজনশীলতাকে উত্সাহিত করার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা বিকাশের পরিপূরক। এই প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার জটিলতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করতে এবং নৈতিক সমস্যাগুলিকে কার্যকরভাবে সমাধানে সক্ষম করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, যখন আমরা কোন ধরনের নৈতিক অসুবিধার সম্মুখীন হই, তখন আমাদের উচিৎ ব্যক্তিগত বিশ্বাস এবং মূল্যবোধের বাইরে গিয়ে অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গিগুলিকে সন্মানের সাথে বিবেচনা করা। এতে করে বিরোধী দৃষ্টভঙ্গী ধারনকারীদের প্রতি যথার্থ সহনুভূতি এবং সন্মান প্রদর্শন করা হয়। যা সকলের জন্যই ইতিবাচক পরিস্থিতির তৈরী করে এবং একে অপরের অবস্থানের বিরুদ্ধে কেবল তর্ক করার পরিবর্তে সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করে। ধারণাটি শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিক বিষয়গুলি সম্পর্কে সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে শেখানোর জন্য একটি কাঠামো হিসাবে কাজ করে যেখানে কোন পক্ষপাতদুষ্টতা থাকে না বা পূর্ব-বিদ্যমান বিশ্বাসগুলিকে শক্তিশালী করে না। একটি সমস্যার উভয় দিক বুঝে অন্যদের জীবন বা তাদের মঙ্গলকে প্রভাবিত করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা বিকল্প সমাধনগুলিকে যেন সাবধানে পরিক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে সে দিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা এই আলোচনায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যবহারিক যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন করে, যা তাদের মতামত প্রকাশ করার অনুশীলন করতে সক্ষম করে। নিজেদের পূর্ব ধারণার উপর ভিত্তি করে কঠোরভাবে বিচার না করে কীভাবে মনোযোগ সহকারে শুনতে হয় এবং অন্য লোকের যুক্তি বুঝতে পারে তা শেখাতে পারে। এই পদ্ধতিটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল সমস্যা সমাধানের কৌশলগুলির মাধ্যমে জটিল সমস্যাগুলি সমাধানে যুক্তিযুক্তভাবে চিন্তা করতে উত্সাহিত করে।
শিক্ষায় দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব ব্যবহার করার আরেকটি সুবিধা হলো এটি শিক্ষার্থীদের সহানুভূতি বিকাশে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে জড়িত থাকার মাধ্যমে নির্দিষ্ট বিষয় বা যুক্তি সম্পর্কে অন্যান্য লোকেরা কীভাবে চিন্তা করে এবং অনুভব করে তা আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। এই ধরনের শিক্ষা সহপাঠীদের মধ্যে সহযোগিতাকে উত্সাহিত করে কারণ তারা একটি বিষয় বা তর্কের বিভিন্ন দিক অনুসন্ধান করার জন্য একসাথে কাজ করে। শিক্ষার দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্বের ইতিহাস একটি চমকপ্রদ। এটি পরিবর্তনশীল শিক্ষাগত চাহিদা মেটাতে বিকশিত হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতার উপর সমালোচনামূলকভাবে প্রতিফলিত করতে উত্সাহিত করার জন্য এটি অপরিহার্য। এটি সংশ্লেষণ এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে ধারণাগুলির অন্বেষণকে সক্ষম করে, যা আমাদের প্রচলিত বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করতে এবং আমাদের চারপাশের বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে মানষিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্বগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারি যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার জন্য আরও বেশি মনোযোগী হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত হবে। তাই শিক্ষকদের উচিৎ দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ববাদকে ভালোভাবে অনুধাবন করা এবং শ্রেনীকক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে বেশী মাত্রায় অংশগ্রহনে অনুপ্রানিত করতে এবং জ্ঞানার্জনের পরিপূরক পরিবেশ তৈরীতে এই দর্শন তত্বটিকে ব্যাবহার করা।