সংস্কৃতি এবং শিক্ষা

সংস্কৃতি এবং শিক্ষা মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিক। সংস্কৃতি প্রবাহমান, গোষ্ঠীগত ঐতিহ্য যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে। অন্যদিকে শিক্ষা হল অন্যকে জ্ঞানদান করা এবং অন্যের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করা। শিক্ষা আমাদেরকে বুঝতে এবং আমরা যে বিশ্বে বাস করছি সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে। যদিও এই দুটি ধারণা সম্পর্কহীন বলে মনে হতে পারে, কিন্তু তারা আসলে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত এবং রয়েছে একে অপরের উপর গভীর প্রভাব। শিক্ষা যে কোন সমাজের বিকাশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সত্যিকারের শিক্ষা ব্যক্তির মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসকে গঠন করতে, জ্ঞানকে প্রশমিত করতে এবং জীবনে সাফল্যের জন্য দক্ষতা প্রদান করতে সাহায্য করে। শিক্ষা সংস্কৃতি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। আমরা সকলেই বেড়ে উঠি একটি নির্দিষ্ট সংস্কৃতির বাতাবরনে যা প্রতিফলিত হয় আমাদের কথা-বার্তায়, আচার-আচরনে, চলনে-বলনে, আকার-ইঙ্গিতে। সংস্কৃতি হলো বিশ্বাস, মূল্যবোধ, ভাষা, রীতিনীতি, ধর্ম এবং ঐতিহ্য, বুনিয়াদ যা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা সমাজকে সংজ্ঞায়িত করে। সংস্কৃতি ফুটে উঠে আমাদের চোখে-মুখে, চাহনীতে, পোশাকে-পরিচ্ছদে, খেলা-ধূলায়, ঘর-গেরস্থালীতে, এমনকি আমাদের হাসি -তামাশায়। তাই সংস্কৃতির সাথে শিক্ষা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শিক্ষার উপর সংস্কৃতির প্রভাব অপরিসীম। শিক্ষা-সংস্কৃতির সম্পর্ককে ভালোভাবে বোঝার মাধ্যমে আমরা আরও ভাল শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে কিংবা নানা মাত্রিক জ্ঞানের সাথে নিজেদেরকে আরও ভালভাবে সংপৃক্ত করার মাধ্যমে গুনগতমানের শিক্ষা প্রদানে সফল হতে পারি।।

 

অনেক সংস্কৃতিতে, শিক্ষাকে সাফল্য এবং সামাজিক গতিশীলতার পথ হিসাবে দেখা হয়। তাই, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষাবিদরা যেন সাংস্কৃতিক মূল্যবোধগুলিকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করে শিক্ষায় প্রয়োগ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের বীজ রোপন করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, পাঠের মধ্যে ঐতিহ্যগত গল্প বা লোককাহিনী অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে তুলে ধরতে পারেন যা শিক্ষার্থীদের ইতিহাস ও সাহিত্য সম্পর্কে জ্ঞান দান করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশে হওয়া উচিত প্রাঞ্জল যা সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক তেরীর পরিপূরক হবে ও সম্মান বোধ জাগাতে সাহায্য করে। সাথে সাথে শিক্ষাবিদদেরকে সাংস্কৃতিক বিভাজন দূর করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক সংস্কৃতির বিশেষ দিনগুলিকে উদযাপন করার মাধ্যমে নানা ধরনের সংস্কৃতির সাথে মেলবন্ধন তৈরী করা যায়। শ্রেণীকক্ষ এবং স্কুল পরিবেশে সাংস্কৃতিক প্রভাবগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে, শিক্ষাবিদরা একটি ভালো অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার জায়গা তৈরি করতে পারেন যা সমস্ত শিক্ষার্থীকে উপকৃত করবে।

 

নৈতিক শিক্ষা যেকোন সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কারণ এটি ব্যক্তিসত্বাকে জাগ্রত করে, ভালো মূল্যবোধগুলিকে বিকশিত করে, নৈতিকভাবে ভাবতে শেখায়, চলতে পথ দেখায়, নান্দনিক বিশ্বাস বিকাশে সাহায্য করে এবং নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারন, লালন ও পালনে আলোকবর্তিকা হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ায় উদ্বুদ্ধ করে। তাই, নৈতিক শিক্ষার মধ্যে সাংস্কৃতিক উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা সহ এই মূল্যবোধগুলিকে সমুন্নত রাখা অতীব জরুরী। শিক্ষার্থীদেরকে তাদের সংস্কৃতির বিভিন্ন দিকের সাথে পরিচয় করানোর মাধ্যমে তাদেরকে নৈতিকতা কীভাবে মানুষিক বিকাশে সাহায্য করে এবং এটি অন্যান্য সংস্কৃতির সাথে কীভাবে সম্পর্কিত তা সম্পর্কেও গভীর উপলব্ধি জাগাতে পারে। নৈতিক শিক্ষায় সাংস্কৃতিক উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার একটি উপায় হল গল্প বলা। গল্প বলা ছাত্রদের নৈতিক দ্বিধা সম্পর্কে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুভব করতে এবং তারা কীভাবে তাদের নিজের জীবনে বিশেষ মূল্যোধগুলিকে প্রয়োগ করতে পারে তা সম্পর্কে ভাবতে শেখায়।  নৈতিক শিক্ষায় সাংস্কৃতিক উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার আরেকটি উপায় হল শিল্প ও সঙ্গীত। এই মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন শিল্প-সঙ্গীত শৈলী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে এবং নৈতিক পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত আবেগগুলি অন্বেষণ করতে সক্ষম হয় । শিল্প এবং সঙ্গীত উভয়ই সঠিক এবং ভুল আচরণ সম্পর্কে সামাজিক বার্তা প্রদানের জন্য শক্তিশালী হাতিয়ার।

 

প্রতিটি সংস্কৃতির নিজস্ব মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের শেখার উপায়, শিক্ষক এবং সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগের পাশাপাশি তাদের সামগ্রিক শিক্ষাগত অভিজ্ঞতাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই শিক্ষায় সংস্কৃতির প্রভাব উপলদ্ধি করা প্রতিটি শিক্ষাবিদ সহ, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ঠ নিতীনির্ধারক এবং সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের উচিত যাতে পুরো শিক্ষাদানের ব্যাপরটি শিক্ষার্থীদের সাথে ভালভাবে জড়িত হতে পারে এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে সহায়ক হয়। একটি সংস্কৃতি নির্ভর সুস্থ শিক্ষা ব্যাবস্থাই পারে ব্যক্তির নৈতিক মূল্যবোধকে বিকশিত করতে যা ব্যাক্তি সাফল্যের পরিপূরক। বিশ্বের নানা দেশে শিক্ষার কার্যক্রমে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ব্যাবহারে অগ্রাধিকর দেওয়া হয়েছে। যেমন, ঐতিহ্যগত চীনা দর্শন শিক্ষাগত কৃতিত্বের মূল্যায়ন করার সময় বুদ্ধিমত্তার জন্য কঠোর পরিশ্রমের উপর জোর দেয়। অন্যদকে আমেরিকান সংস্কৃতি সাধারণত সহজাত প্রতিভাকে বেশী  উৎসাহিত করে। যদিও উভয় সংস্কৃতির দৃষ্টিকোণই একট সুন্দর লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। কোন কোন সংস্কৃতি ব্যবহারিক দক্ষতা যেমন গণিত বা বিজ্ঞানের উপর জোর দেয় যখন অন্যরা সৃজনশীল শিল্প বা শারীরিক ক্রিয়াকলাপের উপর বেশি মনোযোগ প্রদান করে।

 

শিক্ষার কৌশল এবং মূল্যায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন দর্শন রয়েছে যা প্রতিটি দেশের সীমানার মধ্যে সমস্ত জনসংখ্যা জুড়ে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা না হলে সময়ের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, এশিয়ান দেশগুলি মুখস্ত বিদ্যা কৌশলের উপর বেশি জোর দেয়, যেখানে পশ্চিমা দেশগুলি সাধারণত সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ পদ্ধতির মাধ্যমে চিন্তার দক্ষতা বিকাশকে মূল্য দেয়। নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যেমন ফিল্ড ট্রিপ বা অতিথি বক্তাদের ভিজিট শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থপূর্ণ উপায়ে অন্যান্য সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হওয়ার অনন্য সুযোগ প্রদান করতে পারে। ফিল্ড ট্রিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সামাজিক দক্ষতা বিকাশ, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজকে প্রকাশ করতে এবং পাঠ্যক্রমের সাথে সংযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয় । একইভাবে, অতিথি বক্তারা তাদের বাস্তব-বিশ্ব জীবনের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা অতিথি বক্তাদের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের অন্তর্দৃষ্টি এবং দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পায়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে সমাজবিজ্ঞান বা নৃবিজ্ঞান কোর্সের মতো কোর্সের মাধ্যমে জীবনযাত্রার বিভিন্ন উপায় এবং বিশ্বদর্শন সম্পর্কে তথ্যের অ্যাক্সেস প্রদান করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানষিক বিকাশে সাহায্য করতে পারে। সংস্কৃতি এবং শিক্ষা উভয়কে একীভূত করার আরেকটি সুবিধা হল যে এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতাকে উৎসাহিত করে।

 

নৈতিক শিক্ষা যে কোনো শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিতামাতা, শিক্ষক এবং অন্যান্য রোল মডেলদের দায়িত্ব যে তাদের সন্তানরা যেন নৈতিকতা এবং নৈতিক আচরণ সম্পর্কে মূল্যবান পাঠ শিখতে পারে তা নিশ্চিত করা। আমাদের অনুধাবন করতে হবে যে বিশ্বজুড়ে সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর এই বিশ্বায়ন এবং তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির কারনে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের মাত্রাটা বহুগুনে বৃদ্ধ পেয়েছে। প্রতিটি সমাজের নিজস্ব স্বতন্ত্র মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস রয়েছে যা মানুষের চিন্তাভাবনা ও কাজকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ইসলামিক দেশে বেড়ে ওঠা একটি শিশুকে পশ্চিমা দেশে বেড়ে ওঠা শিশুর চেয়ে ভিন্ন মূল্যবোধ শেখানো হয়। তাই, যে কোন দেশের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিভিন্ন পটভূমির শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করার সময় নৈতিক শিক্ষাকে সংপৃক্ত করার জন্য নানা প্রেক্ষিতকে সঠিকভাবে বিবেচনা করতে হবে। সংস্কৃতি শিক্ষাকে প্রভাবিত করতে পারে এমন আরেকটি উপায় হল ভাষার ব্যবহার। ভাষা নৈতিকতা সম্পর্কে বার্তা প্রদানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু কোন ভাষার শব্দগুলি একটি অন্তর্নিহিত অর্থ বহন করে যা প্রায়শই তারা আক্ষরিকভাবে যা বলে বা বোঝায় তার মধ্যে হয়তো পরে না। তাই, শিক্ষাবিদদের তাদের ছাত্রদের সাথে নৈতিকতার বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার সময় এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অপরিহার্য যাতে অনিচ্ছাকৃতভাবে কেউ অসন্মানিত না হয় বা অসাবধানতাবশত তাদের নৈতিকভাবে কথা বলে ভুল পথে নিয়ে যেতে না পারে।

 

তবে শিক্ষার উপর সংস্কৃতির যে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে তা অনস্বীকার্য। এটি শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলিকে আকার দেয়, প্রদত্ত পাঠ্যক্রমের ধরনকে প্রভাবিত করে এবং শিক্ষাবিদদের দ্বারা ব্যবহৃত শিক্ষার পদ্ধতিগুলিকে প্রভাবিত করে। শিক্ষার উপর সংস্কৃতির প্রভাবকে স্বীকৃতি দেওয়া একটি কার্যকর শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করার জন্য অপরিহার্য। সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং ধ্যান-ধরনা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানর্জনের উপর প্রভাব ফেলে। অতএব, শিক্ষানীতি ও অনুশীলন বিবেচনা করার সময় সংস্কৃতির গুরুত্ব স্বীকার করা অপরিহার্য। বিভিন্ন সংস্কৃতি শিক্ষাকে কীভাবে দেখে তা বোঝার মাধ্যমে, আমরা প্রতিটি পৃথক সংস্কৃতির জন্য উপযুক্ত পাঠ্যক্রম আরও ভালভাবে তৈরী করতে পারি এবং সমস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে পারি। শিক্ষাবিদদের বোঝা উচিত যে কীভাবে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ শ্রেণীকক্ষের গতিশীলতাকে রূপ দেয় যাতে তারা ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য অর্থপূর্ণ পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে, শিক্ষার্থীদের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করতে পারে, ন্যায়সঙ্গত মূল্যায়নের অনুশীলনকে লালন করতে পারে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃদ্ধির মানসিকতা গড়ে তুলতে পারে ইত্যাদি। নৈতিক শিক্ষার মধ্যে সাংস্কৃতিক উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা শিক্ষার্থীদের শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য অপরিহার্য যার উপর তারা সারা জীবন সঠিক বনাম ভুল আচরণ সম্পর্কিত ভবিষ্যতের সমস্ত সিদ্ধান্তের ভিত্তি করবে। এই ধরনের নির্দেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত গল্প বলার পদ্ধতিগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যেমন কল্পকাহিনী বা উপমা এবং শিল্প প্রকল্প এবং সঙ্গীত পরিবেশনা যা সৃজনশীল উপায়ে নৈতিক বিষয়ে মতামত প্রকাশ করে। এই ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব বিশ্বাস এবং তাদের ক্রিয়াকলাপের নৈতিক প্রভাব সম্পর্কে আরও ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারে, পাশাপাশি অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সহানুভূতি এবং শ্রদ্ধা বিকাশ করতে পারে। তাই সংস্কৃতি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠনের পরিপূরক।

Leave your review