১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল দেশের ইতিহাসে একটি অবিস্বরনীয় মুহূর্ত এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি বড় মাইলফলক। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে দুই শতাব্দী পরাধীনতার পর ১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাজন পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে পরিনত হয়। নতুন ভাবে পরাধীনতার গ্লানি নিয়ে আবর্তীত হতে থাকে বাঙালীর জীবন সংগ্রাম। পদে পদে ভূলুন্ঠিত হতে থাকে আত্মসন্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদে তাদের সরকার থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করেছিল এবং পরবর্তীতে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন ও অধিকারের এক মহীরুহ স্বপ্নে জেগে উঠেছিলো। অবশেষে, বছরের পর বছর রাজনৈতিক এবং নাগরিক অস্থিরতার পর, বাংলার প্রবাদপুরুষ স্বপ্ন দ্রষ্টা ২৬শে মার্চ শোনালেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো সন্মানের নান্দনিক বার্তা স্বাধীনতা। দ্রোহ আর ভালোবাসায় স্বপ্ন বিভোর বাঙালীর ধমনীতে গর্জে উঠেছিলো প্রতিবাদী হুংকার। ফলস্বরূপ, নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আনুমানিক ত্রিশ লাখ লোকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালী জাতী পশ্চিমাদের সকল প্রহসন, আর অন্যায়কে প্রতিহত করে উত্তোলিত করে লাল সবুজের পতাকা। তাই ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি আত্ম-অহংকারের দিন, একটি পবিত্র, আনন্দ, উচ্ছাস আর সংকল্পের দিন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর বলিষ্ঠ প্রত্যয়ের দিন। বাঙালী সংস্কৃতির বৃত্তায়নে বিকশিত হওয়ার এক পরম অমলীন মূহুর্ত। হাজারো বছরের বাঙালীর স্বপ্ন, আশা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং দর্শন, আমাদের পিতা-প্রপিতামহের মাটিতে হেসে-খেলে বেঁচে থাকার আগ্রহ, আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ঐক্যবদ্ধতার প্রয়াস, ঘর-গেরস্থালী আর মুক্ত চিন্তায় বিকশিত হওয়ার প্রেরনা সব কিছুই জড়িয়ে আছে এই দিনটির সাথে। তাই এই দিনটিকে আমরা স্মরন করি গভীর শ্রদ্ধায়।
স্বাধীনতা শুধু আনন্দ আর উল্লাসের নয়। যে কোন জাতীর স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে ভয়ানক বিষাদগ্রস্থতা, আত্মত্যাগ, রক্তপাত, অনিশ্চয়তা, মানষিক যন্ত্রনা আর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামোর বিপর্যয়। বাঙালীর মহান নায়কের নেতৃত্বে আমরা পাড় হয়েছি এক মহা সংকটের মধ্য দিয়ে। সকল দুর্যোগ আর সংকটকে অতিক্রম করে একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো, একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম ভুখন্ড। ২৬শে মার্চ থেকে শুরু করে বিজয়ের দিন পর্যন্ত সমস্ত বাঙালী ছিলো সৌভাত্রের বন্ধনে আবদ্ধ, ঐক্যে ছিলো দুর্জয় গিরির মতো অটুট, স্বপ্নে ছিলো জাতীয় মুক্তি এবং চেতনায় ছিলো অসাম্প্রদায়িকতার মূল মন্ত্র। জাতীর পিতার উদার এবং বলিষ্ঠ কন্ঠের আহব্বানে এই ভুখন্ডের মানুষেরা এক দন্ডে ঝাঁপিয়ে পরেছিলো স্বাধীনতার যুদ্ধে। তাই স্বাধীনতা আমাদের সকলের প্রিয়। স্বাধীনতা আমাদের ঐক্য এবং ভালোবাসার প্রেরনা। স্বাধীনতার চেতনায় এই নতুন ভুখন্ডের মানুষদেরকে সঙ্গে নিয়ে জাতীর পিতা শুরু করলেন বাঙালীর পথ যাত্রা এক সুখী, সমৃদ্ধ এবং সন্মানজনক জাতী গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে। তার পরের ইতিহাস আমাদের সকলের জানা। সময়ের বিবর্তনে সবকিছুই দিন দিন বদলে যাচ্ছে। সমাজ আর সমাজের মানুষগুলো ধীরে ধীরে ভূলে যাচ্ছে আমাদের অতীতকে, বাঙালীর অস্তিত্বকে, অপসৃয়মানের অতলে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার মূল মন্ত্রগুলো যা প্রেরনার আলোকবর্তিকা হয়ে আমাদের চেতনায় জ্বালিয়েছিলো দ্রোহ আর উত্তেজনা-ভালোবাসা, ঐক্য, অসাম্প্রদায়িকতা, আর মানবায়িত হওয়ার স্বপ্ন। যে আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশটিকে স্বাধীন করেছিলাম, যে স্বপ্নের আলোতে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম তা যেন ধীরে ধীরে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাচ্ছে। মুক্তযুদ্ধের চেতনাগুলো আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। আমরাতো সবাই চেয়েছিলাম একটি সমৃদ্ধ জাতী। একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ, বাঙালী সংস্কৃতিতে জাগ্রত, গনতান্ত্রিক, আইনের শাসনে আবদ্ধ, মৌলিক মানবাধিকার এবং সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর এক বাংলাদেশ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো স্বাধীনতার এতো বছর পরেও আমরা অনেক কিছুই পাই নি। তার কারনটা কী? সবচেয়ে প্রধান কারন হলো আমরা এখন পর্যন্ত একটি জাতীর জন্য সবচেয়ে প্রিয় এবং প্রয়োজনীয় সম্পদটাকে চিহ্নিত করতে না পারা। আর সেই গুরুত্বপূর্ন সম্পদটি হলো শিক্ষা।
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চেয়েছিলাম যা শুধু অর্থনৈতিকভাবেই সমৃদ্ধ হবে না বরং হবে একটি সার্বিক সমৃদ্ধির দেশ। শুধু স্বাধীন ভুখন্ড, লাল সবুজের পতাকা কিংবা জাতীয় সংগীতই নয় চেয়েছিলাম এমন একটি দেশ যেখানে থাকবেনা কোন বৈষম্য, নিপীড়ন কিংবা দূর্নীতি, থাকবেনা স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুদের পদচারনা, সত্যিকারের শিক্ষার আলোকে আলোকিত সোনার বাংলা। কিন্তু বর্তমান হাল হক্কিকত দেখে এইটাই কি মনে হচ্ছে না যে আমরা এখনো নব্য দূর্বৃত্যায়ন থেকে মুক্ত হতে পারিনি, যা পুরো সমাজটাকে করছে কলুষিত। স্বাধীনতার চেতনায় চলতে গিয়ে আমরা বার বার হচ্ছি পথভ্রষ্ট এবং সমাজের শিড়দাঁড়াটাকে দিন দিন দূর্বল করে দিচ্ছি। আর তাইতো আমরা দেখতে পাই দূর্নীতিবাজ আর অশিক্ষীত-কুশিক্ষীতদেরকে বসানো হয় সন্মানের আসনে। যারা সত্যিকার অর্থে মানবায়িত তাঁরা নিভৃতে কাঁদে, পদে পদে হচ্ছে অপমানিত লাঞ্চিত। এই এক ভয়ানক সামাজিক অধঃপতন। এই বিভীষিকাময় কর্দমাক্ত সামাজিক পরিস্থিতিকে সমূলে উৎপাটিত করতে হবে এবং শুরু করতে হবে নতুন এক পথ যাত্রা। সত্যিই যদি মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করতে চাই, তৈরী করতে চাই নিরাপদ এবং সন্মানের সাথে বসবাসের এক নিবির আবাসস্থল তাহলে আমাদের সবাইকে আবারো জাগতে হবে এবং শুরুটা হোক নৈতিক শিক্ষা এবং জ্ঞানার্জনের মধ্য দিয়ে। এই হোক এক নতুন অঙ্গীকার সমাজকে মানবায়িত করার। যাত্রা হোক মানবায়নের পথে। তা না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকারে নিমজ্জিত।
এই সহস্রাব্দের সবচেয়ে বড়ো সম্পদ হলো শিক্ষা এবং জ্ঞান। একটি জাতীকে সমৃদ্ধ, সুখী এবং নৈতিক ভাবে গড়ে তোলার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি যুগোপযোগী মানবিক এবং প্রায়োগিক শিক্ষা। আর এই কারনেই একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশী মাত্রায় নজর দেওয়া এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রটি হওয়া উচিত শিক্ষাখাতে। সত্যিকারের শিক্ষা মানুষকে শুধু মানবায়িতই করে না, সাথে সাথে তাদের দক্ষতা এবং ক্ষমতা বিকাশের উন্মেষ ঘটায়, যাতে তারা তাদের জাতির অব্যাহত বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধিতে সঠিক অবদান রাখতে পারে। জ্ঞান হল শক্তি, ব্যক্তি ও জাতীয় উভয় স্তরেই। একটি শিক্ষিত জনসংখ্যা আরও বেশি উত্পাদনশীল, উদ্ভাবনী, উদ্যোক্তা, এবং তারা যে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে সক্ষম। নিজকে, সমাজকে, রাষ্ট্রকে এবং বিশ্বকে বোঝার ক্ষমতা শিক্ষিত জনগনের মাঝে বেশী পরিলক্ষীত। জ্ঞান এবং শিক্ষা যে কোন জাতীগোষ্ঠীকে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম। দারিদ্রতা দূরীকরনের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হলো শিক্ষা। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন থেকে একটি সমাজকে মুক্ত করতে শিক্ষার ভূমিকা অনস্বীকার্য। একটি সুস্থ শিক্ষা ব্যাবস্থা এবং জ্ঞানার্জনের নিটোল পরিবেশের মধ্যে বেড়ে উঠা সমাজ বৃহত্তর সামাজিক সংহতির দিকে অগ্রসর হতে থাকে কারণ শিক্ষা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াকে উৎসাহিত করে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ রোপন করে, বৃহত্তর স্বপ্নের বাতাবরনে পথ চলায় আগ্রহ বাড়ায়। এটি নাগরিকদের মধ্যে বর্ধিত ঐক্যের সংপৃক্ততা বৃদ্ধি করে যা সমাজের মধ্যে বা বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘাতের উদ্ভব প্রতিরোধে সহায়তা করে। জ্ঞানের ইতিবাচক প্রভাব সমাজের নানাক্ষেত্রে দৃশ্যতঃ। ইতিহাস জুড়ে দেখা যায় যে চীন এবং ভারতের মতো দেশগুলি আজ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার প্রধান কারণ সমাজের সমস্ত স্তরে শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের জাতীয় এবং সামাজিক মনযোগ। সাথে সাথে সঠিক বিনিয়োগ। অন্যান্য দেশ যেমন সিঙ্গাপুর শিক্ষাগত অবকাঠামোতে প্রচুর বিনিয়োগের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। উন্নতমানের শিক্ষা অবকাঠামো সহ শিক্ষাবিদদের প্রতিযোগিতামূলক বেতনের মাধ্যমে শিক্ষার শ্রেষ্ঠত্বের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের লক্ষ্যে ভাল-অর্থায়নকৃত গবেষণা প্রকল্পগুলিকে উৎসাহিত করা সহ জাতীয় গবেষনানীতি দৃঢ়তার সাথে প্রনয়ন করা হচ্ছে। সুতরাং জ্ঞান এবং শিক্ষা হওয়া উচিত যে কোন জাতীর জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জাতীয় অগ্রাধীকার।
অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং মানুষের মনস্তাত্বিক বিকাশ ছাড়া একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কখনোই সত্যিকারের সন্মান নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। যদিও অর্থনৈতিক ভাবে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি। গত পাঁচ দশকের ব্যাবধানে নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে হলেও বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কারনে আজ আমরা সমাজের নানা ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি। তবে যদি সহজভাবে বলি শুধু এক অর্থনৈতিক সাফল্য ছাড়া আর কোন ক্ষেত্রে কি আমরা তেমন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি? সামাজিক অস্থিরতা, অপরাধ, ঘুষ, দূর্নীতি, মিথ্যাচার, হত্যা-রাহাজনি, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্ষন, দূর্বৃত্যায়ন সবকিছুতেই সয়লাব হয়ে গেছে দেশ। জনজীবন হয়ে উঠেছে অতীষ্ঠ। আমাদের চিন্তা-চেতনায় বাসা বেঁধেছে ভোগবাদীতার অসুস্থ কীট। তাই এখনো সময় আছে আমাদেরকে আরেক বার জেগে উঠার। উপলদ্ধি করার যে সব মুক্তির মূলে রয়েছে শিক্ষা। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই ছোট্ট একটি ভুখন্ডে বাস করছে প্রায় ১৮ কোটি মানুষ। এতো মানুষেরা জন্য উপযুক্ত সম্পদ কোথায় পাওয়া যাবে? আর যদি অর্থনৈতিক সাফল্য আসেও তা লুটপাট করে ভোগ করবে কিছু লোক। সমাজের বড়ো একটি অংশের কখনোই অর্থনৈতীক মুক্তি আসবে না। অথচ শিক্ষাই পারে একটি জাতীকে মানবায়নের আলোকে আলোকিত করতে এবং সত্যিকারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়ে আসতে। প্রায় তিন কোটি সন্তানেরা পড়াশুনা করছে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এদেরকেই যদি একটি যুগপোযোগী এবং মূল্যবোধ নির্ভর নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং জ্ঞানের আলোকে লালন করা যায় তা হলেই আমাদের সত্যিকারের সামাজিক মুক্তি আসবে। মুক্ত যুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করার এই হবে সবচেয়ে বড়ো কাজ।
স্বাধীনতার চেতনাই যে আমাদের অস্তিত্ব সেই হোক আমাদের উপলদ্ধি। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই হয়ে উঠুক বাংলার ভাগ্য নিয়ন্তা। যে ঐতিহ্য আর সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে সমৃদ্ধ এবং বিকশিত হয়েছে এই জাতী, যুগ যুগ ধরে নানা ঐতিহ্য থেকে যে ভাবে অর্জন করেছে শক্তি আর ঋজুতা, সেই চেতনা আর ঐতিহ্যই হয়ে উঠুক স্বাধীনতা উত্তর এই বাংলার সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দর্শন। আর শিক্ষাই হোক আমাদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জাতীয় মন্ত্র এবং আমাদের বড়ো সম্পদ।