রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন -একজন মহান মানুষ মানবতার প্রতীক, দার্শনিক, ভারতের মেসিয়ানিক কবি,দেশপ্রেমিক, চিত্রকর, মানবতাবাদী, গীতিকার, সুরকার এবং তার বাইরে যিনি তিনটি জাতীয় সঙ্গীতকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, প্রথম অ-ইউরোপীয় যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন (১৯১৩), বাঙালি নবজাগরণের মূল উদ্যোক্তা। অহিংসা মতাদর্শের মাধ্যমে রবি ঠাকুর বিংশ শতাব্দীর বেপরোয়া ধর্মীয় 'জিহাদিবাদ' এবং সাম্রাজ্যবাদীদের 'যুদ্ধ-উন্মাদনা'-এর পটভূমিতে এবং প্রতিষেধক হিসাবে বিশ্ব শান্তির একটি নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছিলেন। ঠাকুর দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়ানক ধ্বংশযজ্ঞের বিবর্ষতা আর মানবতার আর্তনাদের প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি এই 'ধ্বংসের তান্ডবলীলাকে তিনটি অপশক্তির প্রভাবের মূল কারন বলে দায়ী করেছেন: আধুনিক সমাজের অমার্জিত বস্তুবাদ; বিদ্রোহী জাতীয়তাবাদ এবং সংগঠিত ধর্মীয় মৌলবাদ, যা তিনি মনে প্রানে উপলদ্ধি করেছিলেন যে, এ জাতীয় অপশক্তি'মানুষের অভ্যন্তরীণ জীবনের অবাধ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এবং পথকে বিঘ্নিত করে এবং শোষণ করে'। তিনি চেয়েছিলেন একটি শান্তি এবং সম্ভাবনার বিশ্ব যেখানে মানুষ বসবাস করবে সৌভাত্রের বন্ধনে পরম শ্রদ্ধা এবং মর্যাদার সাথে। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি বিশ্ব মানব সম্প্রদায়ের সৃষ্টি, যেখানে থাকবেনা কোন ধর্মীয় গোঁড়ামী, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন আর যুদ্ধের উন্মাদনা, থাকবে শুধু সম্প্রীতি আর যুক্তিবাদী দর্শন কিন্তু নৈতিক এবং আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়ের, প্রতিটি আত্মার মধ্যে ঈশ্বরের শিশির-বিন্দু ভাগ করে নেয়া যায় যেখানে।
মহাত্মা গান্ধী সত্য ও অহিংসার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর ভাষায় “আমরা যদি এই পৃথিবীতে সত্যিকারের শান্তিতে পৌঁছুতে চাই এবং যদি আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সত্যিকারের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাই তবে তা আমাদের শিশুদের দিয়ে শুরু করতে হবে; এবং যদি তারা তাদের স্বাভাবিক নির্দোষতায় বড় হতে পারে তা হলেই আমাদের আর সংগ্রাম করতে হবে না; তবেই আমরা প্রেম থেকে মহা প্রেমে এবং শান্তি থেকে মহা শান্তিতে পোঁছুতে পারবো। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বের সমস্ত কোণ সেই শান্তি এবং ভালবাসায় ঢেকে না যাবে ততক্ষন পর্যন্ত বিশ্ববাসীকে সচেতন ভাবে এগিয়ে যেতে হবে”। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক দশক পরে ১৯৫৫ সালের জুলাই মাসে বার্ট্রান্ড রাসেল এবং আলবার্ট আইনস্টাইন একটি যৌথ ইশতেহার প্রকাশ করে, মানবজাতীকে দ্বন্দ্ব এবং যুদ্ধের পথ পরিহার করে আসন্ন ধ্বংস থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচানোর অনুরোধ করেন। সমসাময়িক চিন্তাবিদ নোয়াম চমস্কিও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ডাক দেন। প্রফেসর নোয়াম চমস্কি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী পাবলিক বুদ্ধিজীবীদের একজন। সম্প্রতি নোয়াম চমস্কি দ্য ইন্টারসেপ্টের জেরেমি স্কাহিলের সাথে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনায় কথা বলেছেন। তার ভাষায় ইউক্রেনের যুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের "একটি উন্মাদ পরীক্ষা"। তার মতে যুদ্ধ শেষ হওয়ার দুটি উপায় আছে: একটি উপায় হল শান্তি চুক্তি এবং অন্যটি মূলত ধ্বংস করা। রাশিয়ানদের কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। সুতরাং এর অর্থ হল শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনকেই ধ্বংস করা। দ্বিতীয় উপায়টি হল গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি। তাই আমাদের যা করা উচিত তা হল একটি সম্ভাব্য আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার দিকে অগ্রসর হওয়া যা ইউক্রেইনদের মহা বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে।
উপরের এই কথাগুলি থেকেই উপলদ্ধি করা যায় পৃথিবীর কেউ যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা অনেকেই দেখেছি পৃথিবীর সর্বত্র-এশিয়া, আফ্রিকা আর লাতিন আমেরিকায়। আফগানিস্থান, কাম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক এবং বাংলাদেশ সহ নানা প্রান্তের হত্যাযজ্ঞ আর ধ্বংশলীলার মাতমে কোটি মানুষ হয়েছে দিশেহারা। তাও থামছেনা এই তান্ডবতার উন্মাদনা। কবে শেষ হবে এই ভয়ানক গ্রহনের কাল? কারো কাছে কোন উত্তর নেই। শুধু এইটুকুই জানি যা হচ্ছে তা ভালো হচ্ছে না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পরই এই বিশ্ব যেন এক অশান্তি আর ধ্বংশের উন্মত্ততায় মেতে উঠে। একদিকে সামাজিক অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক মন্দাত্বতা, আর অন্যদিকে জঙ্গীবাদ, ধর্মীয় নাৎসীবাদের উত্থান চারিদিকে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে যক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির যুদ্বংদেহী মনোভাব আর জোরপূর্বক পশ্চিমা গনতন্ত্রের প্রচার ও প্রসারের এক জঘন্য দার্শনিক চিন্তাধারা। একের পর এক নানা দেশে চালিয়েছে সরকার পতনের আর হত্যাযজ্ঞের নীল নকসা। ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্থান কিংবা সিরিয়ার অবকাঠামোকে ভেঙ্গে চুড়মার করে দেওয়া হয়েছে। চারিদিকে শুধু প্রহসনের বিষ বাস্প। এর মধ্যেই ইউক্রেইনে শুরু হলো একনতুন ষড়যন্ত্র। গনতান্ত্রীক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র। রাশিয়া পারেনি চুপ করে থাকতে। কোন সুস্থ মানুষ কিংবা সভ্য জাতী পারবেনা স্থিত প্রাজ্ঞতার মাঝে ডুবে থাকতে। বর্তমান সংকটে রাশিয়ার সংপৃক্ততা তারই কারন। ভগবদগীতায়ও ভগবান কৃঞ্চ উচ্চারন করেছিলেন-যখনই ধর্মের অবনতি ঘটবে এবং অধর্মের উত্থান হবে, হে ভরতের উত্তরাধিকারী, আমি আবির্ভূত হব। ভালোকে রক্ষা করতে, মন্দের বিনাশ করতে এবং ধর্মকে পুনরুদ্ধার করতে, আমি বারবার আসব। রাগ সমবেদনায় পরিণত হলে কোনো যুদ্ধই হবে না।
আর কয়েক সপ্তাহ পরেই রাশিয়ার ইউক্রেইনের স্পেশাল অপারেশান এক বছর পূর্ন হবে। পশ্চিমারা অবশ্য একে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। পশ্চিমা গনতান্ত্রিক ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কন্ঠে সুর মেলানো শক্তিশালী সব সংবাদ মাধ্যমগুলির সংবাদ পরিবেশনা দেখলে মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম শক্তি অগনতান্ত্রিকতার পূরোধা, স্বৈরতান্ত্রিকতার প্রানকেন্দ্র আর বাক-স্বাধীনতার পরিপন্থী (শুধু পশ্চিমাদের মতে) রাশিয়া অন্যায় ভাবে গনতান্ত্রিক সভ্যতার সভ্য জাতী ইউক্রেইনে ধ্বংশের তান্ডব লীলায় মেতেছে। আসলে কী তাই? আমার এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে। সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে যারা শতাব্দী ধরে ঝান্ডা ধরেছেন, কন্ঠকে উদ্ধত করেছেন, সাম্য এবং সমতার সমাজ তৈরীতে রক্ত দিয়েছেন মৃত্যুকে পড়োয়া না করে। বিশ্বের সুস্থ সুশীল সমাজকে। আপনারা ভালো করেই জানেন রক্ত শোষনকারীর দল কারা? পৃথিবীকে অস্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে কাদের হাত লম্বা। তারা গনতান্ত্রিকতা আর বাক-স্বাধীনতার মুখোশধারী, তথাকথিত মানবাধিকার আর আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রচারক পশ্চিমা বিশ্ব। তাদের অতীতের কাজ-কর্ম ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সহ ন্যাটোভুক্ত পশ্চিমা বিশ্বের উদ্ধত আস্ফালন সাড়া পৃথিবী ব্যাপী বিস্তৃত লাভ করেছে। একের পর এক দেশ আক্রমনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এক ভয়ানক তান্ডবলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। গনতান্ত্রীক ভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরী করেছে। প্রয়োজনে সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করে চলেছে। জাতীগত বিরোধ সৃষ্টি করে একের পর এক দেশ ধ্বংশ করে চলেছে। তার জ্বলন্ত প্রমান ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেন। ভেনিজুয়েলা সহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে চালিয়েছে একের পর এক ষড়যন্ত্র। কোথাও সফল হয়েছে কোথাও পারেনি। যেখানে পারেনি সেখানে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিলো। শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশের উপর পশ্চিমা প্রেতাত্বাদের হাত পড়ে। সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভেঙ্গেই পশ্চিমারা দমে যায়নি। রাশিয়া নামক শক্তিশালী জাতীটাকে একেবারে দূর্বল করে ধ্বংশ করার মহাযজ্ঞে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিম দোসররা। ইউক্রেইনকে দাঁড় করিয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে, স্বজাতীকে স্বজাতীর বিরুদ্ধে। গনতান্ত্রীক ভাবে নির্বাচিত রাশিয়া পন্থী সরকারকে উৎখাত করার মাধ্যমে রাশিয়ার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছে। ২০১৪ পরবর্তী ঘটনা বিশ্ব বাসীর সকলের কম বেশ জানা আছে। বিশেষ করে বিশ্বের অধিকংশ মানুষ যারা এশিয়া-আফ্রিকা আর লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে বসবাস করছে। কারন তারাই কোন না কোন ভাবে বহুমাত্রিক সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সত্যটার মুখোমুখি হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমারা অনবরত হজম করে চলেছে গুটি কয়েক শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যমের অসত্য এবং পরিকল্পিত পশ্চিমা প্রচার।
বিশ্ব আবারো এক নতুন সংকটের মুখোমুখি। এবারের সংকট কোন আঞ্চলিক সংকট নয়। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আবারও একজোট হয়েছে। এ সংকটে সবচে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। দ্বিতীয় যুদ্ধের পর থেকেই মার্শাল প্রকল্পের কারনে পুরো ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের বলয়ে চলে যায়। আর এই সুযোগে যুদ্ধোত্তর বিদ্ধস্ত ইউরোপীয় পূনর্ঘঠনের নামে চালিয়ে আসছে একতরফা আধিপত্য। নিজেদের বানিজ্য সুবিধার জন্য ইউরোপ হয়ে পড়ে এই সংকটের মধ্যমনি। গত কয়েক দশক ধরে ইউরোপীয়ান রাজনৈতিক পরিমন্ডলে দেখতে পাচ্ছি দূরদর্শী সম্পর্ন রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব। রাশিয়াকে জব্দ করার জন্য নিজের পায়ে কুড়াল মেরে প্রয়োগ করে যাচ্ছে একের পর এক রাশিয়ার বিরুদ্ধে আত্মবিধ্বংশী নিষেধাজ্ঞা। আর অন্যদিকে ইউক্রেইনকে বিজয়ের মুকুট পড়ানোর জন্য ঢেলে যাচ্ছে দেশীয় সম্পদ, যোগান দিয়ে যাচ্ছে যুদ্ধের সরন্জামাদি। বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো চলে যাচ্ছে ইউক্রেইনের সংকটে। রাশিয়ান গ্যাস আর তেলের অভাবে সাড়া ইউরোপ জুড়ে চলছে মহা সংকট। মূদ্রাস্ফিতীর উর্ধগতি। মানুষের দৈনন্দিন খরচের মাত্রা বেড়ে গেছে নাগালের বাইরে, ক্রয় ক্ষমতা গেছে কমে। সাড়া ইউরোপ জুড়ে চলছে লাগাতার হরতাল। জনজীবন একেবারে বিপন্ন। তার প্রভাব পড়েছে সাড়া বিশ্ব ব্যাপী। অথচ এই সংকট থেকে ফায়দা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে অস্ত্র বিক্রির হিরিক আর অন্যদিকে তেল আর গ্যাস রপ্তানী বেড়ে গেছে কয়েক গুন। তাও আবার রাশিয়ার তেল-গ্যাসের দামের চেয়ে ৬-৭ গুনে বিক্রি করছে ইউরোপে। কতো ভয়ানক ইউরোপীয়ান দাম্ভিকতা! আর এই দাম্ভিকতাই একদিন ইউরোপ এবং পশ্চিমা বিশ্বকে ধ্বংশের দিকে নিয়ে যাবে।
এতো কিছুর পরেও রাশিয়া এখনো দমে যায়নি। একের পর এক ধ্বংশ করে যাচ্ছে ইউক্রেইনের গুরুত্বপূর্ন অবকাঠামোগুলিকে। প্রায় ষাট ভাগ অবকাঠামো ধ্বংশপ্রাপ্ত। আলোহীন কিয়েভসহ বড়ো বড়ো শহরগুলি। ইউরোপীয়ান অর্থর্নীতি এক মহা সংকটে। একদিন যুদ্ধ থেমে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যুদ্ধে রাশিয়া ইউক্রেনের বেশ কিছু অংশ দখলে নিবে তা নিশ্চিত। কোন যুদ্ধেই কেউ জয়লাভ করেনা। যুদ্ধ মানেই বিধ্বস্ত মানবতা, হাজারো মানুষের মৃতদেহ। ধ্বংশপ্রাপ্ত জাতীর অবকাঠামো। যারা বেঁচে থাকবে তারা বয়ে বেড়াবে দহনের নির্মম যন্ত্রনা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। রাজনৈতীক নেতারা আবারো কুটনীতির টেবিলে বসবে। রাশিয়ার সাথে আবারো হাত মেলাবে। চলবে রাষ্ট্রীয় কার্যাদি যথারীতি। শুধু ইতিহাসের পাতায় রয়ে যাবে ইউরোপীয়ান ট্র্যাজিডির এক কালো ভৌগলিক মানচিত্রের বিষাদ সিন্দু ইউক্রেইন। পৃথিবীর কোন শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধ চায়না। কারন যুদ্ধ প্রগতী ও মানবতার অন্তরায়। এই সংকটকে আর ত্বরান্বিত না করে দাম্ভিকতার চাদর খুলে ফেলে পশ্চিমা নেতাদের বোধোদয় হোক এবং শান্তি প্রস্তাবের মাধ্যমে কুটনৈতিক ভাবে এই সংকট থেকে পরিত্রান পাক বিশ্ববাসী। জয় হোক বিশ্ব মানবতার।