বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় মানবকন্ঠের ভূমিকা

সংবাদ মাধ্যমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সংবাদ মাধ্যম সরকারের অন্য তিনটি শাখার মতো অর্থাৎ আইনসভা, কার্যনির্বাহী, বিচার বিভাগ সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি রাষ্ট্রের সুস্থ গনতন্ত্রের শক্তি নির্ভর করে প্রতিটি স্তম্ভের সার্বিক শক্তির উপর এবং স্তম্ভগুলি একে অপরের পরিপূরক। তাই সংবাদমাধ্যমের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের এবং সাংবাদিকদের জনসাধারণের কাছে রয়েছে বিশেষ দায়বদ্ধতা এবং জনগনের স্বার্থে সরকার ও সমাজের নানা দিক সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য তাদের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা সাংবাদিকতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে যুগ যুগ ধরে। তথ্য এবং সংবাদ প্রচারে এই মাধ্যমটি মিডিয়ার প্রাচীনতম একটি সংবাদ মাধ্যম এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় যার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় সংবাদপত্রের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই বেশ সন্দিহান এবং অনেক সংবাদ মাধ্যমই নানা সময়ে যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় এসেছে। সংবাদপত্র কিংবা সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা স্থান-কাল-পাত্র ভেদে সভ্যতার অগ্রগতিতে অবদান সবসময়েই সক্রিয় ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তির উৎকর্ষ, আধুনিকায়ন, বিশ্বায়ন এবং গনতান্ত্রিক মেরুকরন সহ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ঠতার কারনে এই মাধ্যমটি আজ মারাত্তকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। সময়ের বিবর্তনে বাংলাদেশেও আমরা গত দুই দশক ধরে দেখতে পাচ্ছি সাংবাদিকতায় এক বহুমাত্রীক পরিবর্তনের উৎকর্ষতা। সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে পক্ষপাতদুষ্ট হলুদ সাংবাদিকতার।
সমাজ ও রাষ্ট্রের সত্যিকরের দর্পন হলো সংবাদপত্র এবং নানা প্রকৃতির সংবাদ মাধ্যম। গত তিন দশক ধরে বিশ্বায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির অভূতপূর্ব উদ্ভাবনা আর মিডিয়ার উদারীকরনের কারনে সংবাদমাধ্যমে এসেছে আমুল পরিবর্তন এবং বহুমাত্রিকতা। কোন জাতির সত্যিকারের মানবিক বিকাশে, মননশীল চিন্তা-চেতনার শৈলী এবং বুদ্ধিদ্বীপ্ত প্রাজ্ঞতার উন্মেষে সংবাদপত্র এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই সাংবাদিকরা জাতির বিবেক হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। তারাই হলেন মানবতার অতন্দ্র প্রহরী। সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে, ন্যায় ভিত্তীক সমাজ তৈরিতে, অন্যায়, দূর্নীতি আর ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে জনগনকে জাগ্রত করতে, মানুষের সত্যিকারের কন্ঠস্বর হয়ে তারাই পারেন সমাজে আলোর প্রদীপ জ্বালাতে। তাই সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতা অত্যন্ত নিবিরভাবে আবদ্ধ। স্যামুয়েল ল্যাংহোর্ন ক্লেমেন্স যার কলম নাম মার্ক টোয়েন হিসেবে জগদ্বিখ্যাত একজন আমেরিকান লেখক, উদ্যোক্তা, প্রকাশক এবং প্রভাষক ছিলেন। তিনি সংবাদপত্রকে দ্বিতীয় সূর্যের সাথে তুলনা করেছিলেন। তার মতে পৃথিবীতে প্রতিদিন দুটি করে সূর্য উঠে। প্রথমটি পৃথিবীর প্রভাত সূর্য যা প্রকৃতীর দান। আর দ্বিতীয়টি সংবাদপত্রের সূর্য। পৃথিবী আলোকে উদ্ভাসিত হয় প্রভাত সূর্যের চিরন্তন আলোয়। অন্যদিকে আমাদের সকলের জীবন তথা সমাজ আলোকিত এবং সমৃদ্ধ হয় সংবাদপত্রের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের সূর্যের দ্বীপ্ত কিরনে। তবে এই মার্ক টোয়েন একবার অন্য প্রসঙ্গে এও বলেছিলেন, “আপনি যদি সংবাদপত্র না পড়েন তবে আপনি অজ্ঞাত রয়ে যাবেন। আর যদি সংবাদপত্র নিয়মিত  পড়েন তবে আপনি ভুল তথ্যে প্রভাবিত হয়ে অসুস্থ নাগরিকে পরিনত হবেন।“ অন্যদিকে হেনরী ওয়ার্ড বেচার এর মতে সংবাদপত্র মানুষের কাছে অগনিত স্বর্নের চেয়েও বড়ো সম্পদ। উপরোক্ত উক্তিগুলো থেকেই আমরা অনুধাবন করতে পারি সামাজিক উৎকর্ষতায় সংবাদমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

সত্যিই তাই। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে একটি সন্মানজনক এবং মহান পেশা হিসেবেই দেখা হয় পৃথিবীর অনেক দেশেই। কারন সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে  মানুষ এবং সমাজের কল্যানে মৌলিক সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের গুরুত্ব অপরিসীম। নানাবিধ চ্যালেন্জ সত্বেও সত্যিকারের সাংবাদিকরা সামাজিক অনাচার, অন্যায় আর অপরাধের চিত্রকে সমাজের সামনে তুলে ধরেন। তবে বলিষ্ঠ, সৎ এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা যেমন জাতীর নৈতিক বিকাশে সুস্থ সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টিতে এবং জাতীর পূনর্গঠনে বিশেষ অবদান রাখতে পারে তেমনি বস্তুনিষ্ঠহীন, পক্ষপাতদুষ্ঠ মিথ্যাচারের সাংবাদিকতা একটি সুসংহত জাতিকে এবং জনগোষ্ঠীকে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। ইদানিংকালে সাংবাদিকতা এবং সংবাদ পরিবেশনার হাল হক্কিকত দেখে সংবাদ মাধ্যম সহ এই পেশায় নিয়োজিত সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ববোধ নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। এই ক্ষেত্রে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে বৈশ্বিক সাংবাদিকতায় পশ্চিমা সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রভাব খুব ব্যাপক এবং কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম খুবই প্রতাপশালী। তাই পশ্চিমা সাংবাদিকতায় তথ্যবহুল এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনার গুরুত্ব অত্যধিক যেহেতু তাদের প্রভাব রয়েছে সাড়া বিশ্বব্যাপী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজ মূলধারার সাংবাদিকতা পক্ষপাতদুষ্টে আচ্ছন্ন। এই ব্যাপারটা আজ বেশী মাত্রায় দৃশ্যতঃ বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর। পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম এবং সংবাদসংস্থা সাড়া বিশ্বব্যাপী পশ্চিমা দেশগুলির রাজনৈতিক এবং সরকারের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অসত্য, অর্ধসত্য এবং পক্ষপাতদুষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বেশ সক্রিয়। পশ্চিমা বিশ্বের যে কোন সংবাদ মাধ্যমই হোক না কেন বর্তমানে ইউক্রেইনের যুদ্ধে সব জায়গাই শুধু মিথ্যার বেসাতি আর রাশিয়া সহ পশ্চিমা দেশের প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবি, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সাধারন জনগনের বড়ো একটা অংশ একই ভাষা এবং সুরে কথা বলছে। সাংবাদিকতা যদি তথ্য সম্পর্কে সত্য অনুসন্ধান এবং সঠিক উপস্থাপনা হিসাবে দেখা হয় তাহলে এই জাতীয় তথাকথিত সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকতা সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রগতির অন্তরায়। স্বচ্ছতা, মানবিকতা এবং মৌলিকতাই সাংবাদিকতার মূল মন্ত্র হওয়া উচিৎ।

সাংবাদিকতা যে জাতীয় মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত তার মধ্যে সততা, বস্তুনিষ্ঠতা, ন্যায্যতা, জবাবদিহিতা, স্বাধীনতা এবং প্রাসঙ্গিকতা অতি গুরুত্বপূর্ন। সততা সাংবাদিকতার মূল মন্ত্র। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করা অগ্রহণযোগ্য। পক্ষপাতিত্ব মৌলিক সাংবাদিকতার অন্তরায়। বৈষয়িক কিংবা আদর্শগত সাংঘর্ষিক দ্বন্দ যেন সাংবাদিকতার পরিবেশকে ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকতার পেশায় নিয়োজিতদের বিশেষ সতর্ক থাকা উচিৎ। সবচেয়ে বড় কথা হলো সাংবাদিকতার বস্তুনিষ্ঠতা যেন ব্যাক্তিগত কিংবা দলগত বা গোষ্ঠিগত স্বার্থের দ্বাড়া প্রভাবিত না হয়।  মৌলিক সাংবাদিকতা হতে হবে নিরপেক্ষ এবং সব রকমের বৈষয়িক কিংবা গোষ্ঠী স্বার্থের উর্ধে। উপস্থাপন করতে হবে তথ্যনির্ভর এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ। সেক্ষেত্রে সাংবাদিকতার জবাবদিহিতা এবং তথ্যের প্রাসঙ্গিকতাকেও প্রাধান্য দিতে হবে। যে কোন সমাজের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। আর এই জনসচেতনতা হলো ন্যায়বিচারের অগ্রদূত এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি। সাংবাদিকের কর্তব্য হ'ল সত্যের সন্ধান। ঘটনা ও ইস্যুগুলির সুষ্ঠ এবং বিসতৃত বিবরণ প্রদানের মাধ্যমে উপস্থাপনা করা সাংবাদিকতার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। পেশাদারিত্বের অখণ্ডতা হ'ল একজন সাংবাদিকের বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তি। জনগণকে নির্ভুল ও নিরপেক্ষ তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মিডিয়া বিশ্বায়নের বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা এবং সংবাদমাধ্যম সুষম সামাজিক বিকাশের মেরুদন্ড। আমাদের সমাজ আজ বেশী মাত্রায় তথ্য নির্ভর, যেখানে তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সবকিছু কাজ করে। মিডিয়ার দৃঢ় ভূমিকার কারনে বিশ্বব্যাপী আমরা আজ এক নতুন সামাজিক পরিবর্তনের ধারা দেখতে পাচ্ছি। সংবাদ মাধ্যম জনসাধারণের মধ্যে গভীর সচেতনতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। সোশ্যাল ক্যাপিটালস যখন তাদের ক্ষমতা এবং সুযোগ-সুবিধা প্রয়োগ করে এবং গঠনমূলক কাজ করে, তখন মিডিয়া সবসময় পিছনে থাকে। মাফিয়া ও অপরাধী সংগঠনের মধ্যে খারাপ সংযোগ তুলে ধরতে মিডিয়ার ভূমিকা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সমাজকে সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের দোষ-ত্রুটিগুলিকে জনসমুক্ষে সঠিকভাবে তুলে ধরা সাংবাদিকতার নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে, যেখানে দারিদ্র্য এবং নিরক্ষরতা বেশি, ধর্মন্ধতা এবং সামাজিক অপরাধ আকাশচুম্বী, সমাজ যেখানে এখনো ভারসাম্যপূর্ণ নয়, বিভিন্ন ধরণের সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অতএব, মিডিয়া, নিঃসন্দেহে সামাজিক পরিবর্তন এবং বৃদ্ধির জন্য একটি অনুঘটক
সাংবাদিকতার মৌলিক উদ্দেশ্য তথ্য নির্ভর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রতিবেদন করা, এবং এটি বাংলাদেশের প্রক্ষিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপ বর্তমান সময়ে অত্যন্ত মেরুকৃত এবং বেশিরভাগ আউটলেট সরকার বা বিরোধী দলের সাথে বা কোন সামাজিক বা ব্যাবসায়িক গোষ্ঠীর সাথে কোন না কোনভাবে সংযুক্ত। এর ফলে পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি হবে তাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে করে পাঠক সমাজ সবচেয়ে বেশী বিপদগ্রস্থ হয়।  একজন গড়পড়তা ব্যক্তির পক্ষে কী বিশ্বাস করা উচিত আর কী করা উচিৎ নয় তা নির্ধারন করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু শতো চ্যালেন্জের মধ্যেও বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র এখনো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। এমনকি ইউক্রেইন সংকটকে কেন্দ্র করে যখন পশ্চিমা প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলি একের পর এক মিথ্যাচার করে আসছিলো তখনোও বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় হাতে গোনা কয়েকটি সবাদপত্র বেশ জোড়ালো ভূমিকা রাখছে বস্তুনিষ্ঠ, ন্যায্য এবং জবাবদিহীতামূলক ইউক্রেইনের সংকট বিষয়ক সংবাদ পরিবেশনে। তাদের মধ্যে একটি হল বাংলাদেশের বৃহত্তম দৈনিক পত্রিকাগুলির একটি দৈনিক মানবকন্ঠ। মানবকন্ঠের ইউক্রেন সংকট সহ দেশী, বিদেশী কভারেজ নিরপেক্ষ ও তথ্যনির্ভর পক্ষপাতদুষ্ঠহীন প্রাসঙ্গিকতার জন্য বেশ সুনাম অর্জন করেছে। পশ্চিমা বিশ্বে বসবাস করে বিশ্বায়নের অসম মিডিয়া প্রতিযোগিতার যুগে এই বিষয়ে আমি খুব দৃঢ় বিশ্বাসী যে দৈনিক মানবকন্ঠ বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য সংবাদ পরিবেশনের কয়েকটি উৎসের মধ্যে একটি। এমনকি প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিও ইউক্রেইন বিষয়ক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে ব্যার্থ হয়েছে। সেখানে মানবকন্ঠের বস্তুনিষ্ঠতা ছিল সতেজ এবং প্রশংসিত। 
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য অপরিহার্য। যেহেতু সংবাদ মাধ্যম তথ্য সমৃদ্ধ জ্ঞান বিতরনের একটি গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম তাই আদর্শিক সত্য এবং মুক্ত গনমাধ্যম হলো সত্যিকার গনতন্ত্রের হাতিয়ার। মত প্রকাশের স্বাধীনতা শুধুমাত্র একটি সুস্থ গনমাধ্যমের মূল বিষয় নয়, মৌলিক মানবাধিকর এবং গনতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য অত্যাবশ্যক। তাই নিরপেক্ষ তথ্য প্রদান সাংবাদিকতার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। যুদ্ধের সময় তথ্যের অভাব বা নিরপেক্ষ নয় এমন সংবাদ জনগনের অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পাড়ে। সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা যে কোন সমাজকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে মজবুদ এবং সামাজিক পরিবর্তনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরীতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। সমাজের অগ্রগতিতে এবং একটি শক্তিশালী সচেতন নাগরিক সমাজ তৈরীতে মানবকন্ঠের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রয়াস উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাবে এই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এবং প্রত্যাশাও বটে।

 

Leave your review