ইউক্রেন – রাশিয়ার যুদ্ধের কারন ও প্রেক্ষাপট-পর্ব তিন

যে কোন একটি ভালো বিশ্লেষন নির্ভর করে আলোচনাটি কতোটুকু তুলনা বা বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তিকরে লেখা। অর্থাৎ লেখায় পক্ষের এবং বিপক্ষের যুক্তিগুলোকে কালানুক্রমিকভাবে এবং যৌক্তিক পদ্ধতির সাথে সুসঙ্গতভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে কিনা যাতে করে সংকীর্নতার দোষে আক্রান্ত হতে না হয়। তবে নিজের সীমাবদ্বতা স্বীকার করে মেনে নিচ্ছি যে এই আলোচনায় শুধু পুতিনের দাবীর সমর্থনের বক্তব্য বা তথ্য গুলোকেই আলোচনায় যুক্ত করবো। কারন প্রতিপক্ষের কাছে রুশ প্রেসিডেন্টের অভিযোগ একটা অপ্রাসঙ্গিক কথা বা বানোয়াট এবং পুতিনের দ্বারা উৎপাদিত তথ্য যা সব যোগাযোগ মাধ্যমেই দেখতে পাচ্ছি বিশেষ করে যে কোন চ্যাট রুম, লিস্টসার্ভস, সোস্যাল মিডিয়া, মূল সংবাদ মাধ্যমগুলি এবং টুইটারে। একটি উত্তেজনাপূর্ণ বিতর্ক শুরু হয়েছে এবং পশ্চিমাদের কাছে "রাশিয়াকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো যে ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে সম্প্রসারন করবে না” ব্যাপারটি একটি মিথ্যা অপপ্রচার এবং অনেকের কাছে মিথ। পশ্চিমা বিরোধী ঐক্যমত্ রক্ষা করতে মস্কো কেবল ইতিহাস বিকৃত করে। গত দুইটি লেখায় পুতিনের দাবীর প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। আজকের লেখাটি তারই ধারাবাহিকতা।

মনরোর সে বিখ্যাত উক্তিটি একটু স্মরণ করতে চাই। আমার উঠোনে কে? ১৮২৩ সালে তদানিন্তন কংগ্রেসে রাষ্ট্রপতি জেমস মনরো বার্ষিক বার্তায় পশ্চিম গোলার্ধের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য ইউরোপীয় শক্তিগুলির প্রতি একটি সতর্ক সংকেত দিয়েছিলেন। তাই সেই থেকে এই উক্তিটি মনরো মতবাদ নামে পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফ্লোরিডা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় উত্তর-পশ্চিম এবং লাতিন আমেরিকায় ইউরোপীয় হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক ছিল। ১৮২১ সালে, রাশিয়া আলাস্কা থেকে ওরেগন পর্যন্ত সমগ্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে এবং বিদেশী শিপিংয়ের জন্য এলাকাটি বন্ধ করে দেয়। সেই সময়ে গুজব রটে যায় যে স্পেন, ইউরোপীয় মিত্রদের সহায়তায়, তার প্রাক্তন ল্যাটিন আমেরিকান উপনিবেশগুলি পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা করছে। ইউরোপীয় হস্তক্ষেপ ব্রিটিশদের পাশাপাশি আমেরিকান স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলেছিলো। ব্রিটেনের ল্যাটিন আমেরিকার সাথে একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্য ছিলো, যদি স্পেন তার নিউ ওয়ার্ল্ড উপনিবেশগুলি পুনরুদ্ধার করে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওরেগন দেশের অঞ্চলের জন্য দাবি করে তাহলে বনিজ্য হ্রাস পাবে । ১৮২৩ সালে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ ক্যানিং প্রস্তাব করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন যৌথভাবে আমেরিকায় ইউরোপীয় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তাদের বিরোধিতা ঘোষণা করে। সেই থেকেই বিশেষ করে ঠান্ডা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দুই পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর মধ্যে এই মতবাদটি আরো প্রখর হয়ে উঠে। তবে আজকের এই নিবন্ধে শুধুমাত্র কয়েকটা বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো যা থেকে অন্ততঃ এইটা প্রতীয়মান হবে যে খুব সহজেই এই অনাকাঙ্খিত যুদ্ধটা থামানো যেতো। এই ভয়াবহ পরিনতির জন্য আসলে কে দায়ী? কিংবা এই পরিস্থিতিটা কেনইবা তৈরি হলো।

১৯৯৯ সালে যুগোস্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিনীদের চরম অত্যাচারের খবর সবাই দেখেছে। মার্কিন জেনারেল ওয়েসলি ক্লার্কের নেতৃত্ব অ্যালাইড ফোর্স সার্বিয়ায় ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষন করেছিলো। কারন হিসাবে দেখিয়েছিলো যে যুগোস্লাভিয়া রক্তপাত আর আগ্রাসনর মাধ্যমে আলবেনিয়ানদের জাতিগত নির্মূলের চেষ্ট করছে। অথচ গত ৭-৮ বছর ধরে ইউক্রেইনের দনবাস এলাকায় যা হচ্ছে তা নিয়ে পশ্চিমাদের তো কোন মাথা ব্যাথা নেই? কোন দেশের তো কোন অনুমতি নেয় নি ন্যাটো এই বর্বরতা চালানোর জন্য? পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলিতো তখন এক জোট হয়ে এতো মিটিং-মিছিল কিংবা হম্বি-তম্বি তো করে নি? আরোপ করেনি কোন ধরনের অর্থনৈতিক বা রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রর বিরুদ্ধে? কোন আন্তর্জাতীক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালেরও ব্যাবস্থা করা হয়নি? তাহলে আজ কেন? নাকি তথাকথিত গনতন্ত্র আর কিছু মানুষের স্বাধীনতা রক্ষার নামে শুধু যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো বাহিনীরই সব ক্ষমতা আছে? শুধু দ্বিতীয় পরাশক্তি রাশিয়ার নেই। অথচ রাশিয়াই বার বার সমতা বিশ্বের কথা বলে আসছে যেখানে একটি রাষ্ট্র অন্য একটি রাষ্ট্রকে শ্রদ্ধার সাথে দেখবে এবং সহযোগীতা করবে।

পুতিন বার বার পশ্চিমাদের সহজ ভাষায় বুঝানোর চেষ্টা করেছিলো আমরা আর ন্যাটোর সম্প্রসারন পূর্ব ইউরোপের দিকে চাই না। আমরা যুদ্ধ চাই না। আন্তঃ-দেশীয় শ্রদ্ধাশীল এবং সমতার সম্পর্কে বিশ্বাসী। তবে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা আপোষ করবো না। ইউক্রেইকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া যাবে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ রোধ করার দ্বায়িত্ব নেবে এবং প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজ্যগুলিকে জোটে সংপৃক্ত করবে না। ইউক্রেইকে একটা নিরপেক্ষ দেশ বা অঞ্চল হিসাবে দেখার প্রস্তাব করেছিলো রাশিয়া। রুশ প্রস্তাবনায় কি কোন অযৌক্তিকতা ছিলো? সেখানে কি এমন কিছু শর্ত ছিলো যা ন্যাটো কিংব যুক্তরাষ্ট্রর মানা সম্ভব ছিলো না?

অনেক স্নায়ুযুদ্ধের পণ্ডিতদের কাছে এই প্রসঙ্গের উৎপত্তি প্রাথমিকভাবে ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশের অধীনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস বেকারের মস্কো সফর থেকে পাওয়া যায়, যেখানে বেকার সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভের সাথে দেখা করেছিলেন। বার্লিন প্রাচীর পরাকল্পিত লক্ষ সময়ের তিন মাস আগে ভেঙ্গে গিয়েছিলো, এবং পশ্চিমা নেতারা খোলাখুলি আলোচনা করছিলেন যে একটি বিভক্ত জার্মানি পুনরায় একত্রিত হবে কিনা, এবং যদি তা ঘটে, তাহলে ন্যাটো বাহিনী শেষ পর্যন্ত পূর্ব জার্মানিতে অবস্থান করবে কিনা। এ নিয়ে মস্কো আশঙ্কায় ছিলো। রেডিও লিবার্টির ১৯শে মে ২০২১-এ প্রকাশিক মাইক একেল (Mike Eckle) এর লেখা এক নিবন্ধ থেকে জানা যায় স্টিভেন পিফারের মতে (একজন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত যিনি সেই সময়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন, জার্মানির সাথে, প্রাক্তন পূর্ব জার্মানিতে নন-জার্মান ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন না করতে সম্মত হয়েছিলো। জার্মান পুনঃএকত্রীকরণ এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে সমস্ত সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহারের পর ১৯৯৯ সালে, ন্যাটো তিনটি প্রাক্তন ওয়ারশো চুক্তিভুক্ত দেশগুলিকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়: পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র এবং হাঙ্গেরি। তার আটবছর পর ২০০৭ সালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে, আটলান্টিকের উভয় প্রান্তের কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং বিশেষজ্ঞদের একটি বার্ষিক উচ্চ-পর্যায়ের সমাবেশে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ন্যাটো এবং সেইসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি জোড়ালো বক্তব্য দিয়েছিলেন, যেখানে ন্যাটোর বিরুদ্ধ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের সরাসরি অভিযোগ এনেছিলো পুতিন এবং ন্যাটোর কার্যকলাপ রাশিয়াকে হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছিলো। পুতিন সেই সন্মেলনে স্পষ্টতার সাথে বলেছিলেন যে "আমি মনে করি এটা স্পষ্ট যে ন্যাটো সম্প্রসারণের সাথে জোটের আধুনিকীকরণের বা ইউরোপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোন সম্পর্ক নেই। বরং, ন্যাটোর কার্যকলাপ একটি উস্কানিমূলক যা পারস্পরিক বিশ্বাসের স্তরকে হ্রাস করে"। সুতরাং পুতিনের এই প্রতিবাদ নতুন কোন মনগড়া মতবাদ নয়।

রবিবার ২৭ই ফেব্রুয়ারী, রাশিয়ার প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির পারমাণবিক প্রতিরোধকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখার জন্য শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছেন। ক্রেমলিনে সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে পুতিন বলেছিলেন যে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রগুলি সক্রিয় এবং সতর্ক অবস্থায় রাখা হবে যা তিনি "বিশেষ যুদ্ধ পরিষেবা ব্যবস্থা" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পুতিন বলেন, “পশ্চিমা দেশগুলো শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অবন্ধুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই নিচ্ছে না, ন্যাটোর নেতৃস্থানীয় সদস্যদের শীর্ষ কর্মকর্তারা দেশটির ব্যাপারে আক্রমণাত্মক বিবৃতি দিচ্ছেন অনবরত।” পুতিনের বেপরোয়া আগ্রাসী ভূমিকা যাই বলি না কেন, যতো নিন্দা আর নেতিবাচক শব্দ রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেই ব্যাবহার করি না কেন, এতে এই সত্যকে পরিবর্তন করা যাবে না যে বর্তমান সঙ্কট এবং এর সমস্ত সম্ভাব্য বিপর্যয়মূলক পরিণতির জন্য প্রধান দায় আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ এবং তার ন্যাটো মিত্রদের উপর বর্তায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন ​​সাকি পুতিনের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় ঘোষণা করেছিলেন যে এটি "একটি পুতিনের প্যাটার্নের অংশ যা আমরা এই সংঘর্ষের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে দেখেছি, যা পুতিনকে আরও আগ্রাসনের ন্যায্যতা কিংবা বৈধতা দেওয়ার জন্য এমন হুমকি তৈরি করছে যার কোন যুক্তি নেই। হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন বলেছে যে রাশিয়া "কখনই ইউক্রেন বা ন্যাটো থেকে হুমকির মুখে ছিলো না, ন্যাটো একটি প্রতিরক্ষামূলক জোট যা ইউক্রেনে যুদ্ধ করবে না।" তবে আমাদের এইটা বুঝতে হবে যে এই শধু ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ নয় এই যুদ্ধ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রর প্রত্যক্ষ যুদ্ধ। ন্যাটো একটি প্রতিরক্ষামূলক জোট নয় বরং রাজনৈতিক ও সামরিক জোট।

এই একবিংশ শতাব্দীর পারমানবিক যুগে যে কোন যুদ্ধ পৃথিবীর জন্য ঝুঁকিপূর্ন। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির উচিত ছিলো পূর্ব ইউরোপ থেকে সামরিক উপস্থিতি হ্রাস করার পরিকল্পিত উদ্যোগ সহ ইউক্রেইনে রুশ বাহিনী মোতায়ন বা আক্রমন না করার জন্য একটি সমঝোতা চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া। ২০১৪ সালে এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ এক গনভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে যোগ দেওয়ার পরপরই রাশিয়া-সমর্থিত দনবাস অঞ্চলে যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয় সেই সংঘাতকে থামানোর জন্য ফ্রান্স এবং জার্মানির মধ্যস্থতায় যে মিনস্ক চুক্তি হয়েছিলো তার সঠিক বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া। রাশিয়াকে সমকক্ষ  হিসাবে দেখা যা পশ্চিমারা উপেক্ষা করেছে বার বার কিংবা অবমূল্যায়ন করেছে। কারন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি কখনোই পৃথিবীর শান্তি চায়নি। বরং এক অশান্তিময় এবং অস্থিতিশীল বিশ্বই ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উদ্দেশ্য। জাতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার এবং রাশিয়াকে অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবে পর্যুদস্থ করার জন্যে যুদ্ধটা যে বড়ই প্রয়োজন ছিলো যুক্তরাষ্ট্রর এতে কোন সন্দেহ নেই। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের এক নাম্বার অস্ত্র সরবরাহকারী (৩৭ শতাংশ)। যুদ্ধ টিকিয়ে না রাখলে যে লকহিড মার্টিন, বোয়িং, নর্থরপ গ্রুম্যান, রেথিয়ন টেকনোলজিস এর মতো বৃহৎ অস্ত্র উৎপাদনকারী দৈত্যরা সন্তুষ্ট হবে না। যুদ্ধ হলে এদের মূনাফা তর তর করে বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র সহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি যদি সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ন পৃথিবী কিংবা ইউরোপের স্থিতিশীলতা চায় এবং ইউক্রেইনে রক্তাক্ত যুদ্ধকে থামাতে চায় তাহলে এখনো সময় আছে কুটনৈতিক আলোচনায় বসা। ইউক্রেইনকে একটি নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসাবে ঘোষনা করা এবং পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা। সাথে সাথে সম মর্যাদায় রাশিয়ার সাথে বিশ্ব নিরাপত্তার লক্ষ্যে একটি দীর্ঘ মেয়াদী শান্তি চুক্তি করা।

Leave your review